ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

জনসংযোগ পরিচালককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে মানববন্ধন

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২৩:০৫, ২৯ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২৩:০৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক ও কৃষি অনুষদের ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদারকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কৃষি অনুষদীয় পরিবার।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৃষি অনুষদীয় পরিবারের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।  

মানব্বন্ধনে বক্তারা বলেন, নৈতিকতার মধ্য থেকে শিক্ষা দান করাই একজন শিক্ষকতার মূল দায়িত্ব। কিন্তু যারা শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তাদের শিক্ষক হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই। শিক্ষকদের কাছে আমরা নীতি নৈতিকতা শিখবো কিন্তু শিক্ষক হয়ে যদি আর একজন সিনিয়র শিক্ষকের অফিস রুমে গিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে আসে তাহলে আমাদের কাছেও ঐ সকল শিক্ষক কখনো ভালো আচরণ আশা করতে পারে না । 
 
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সৌরভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কৃষি অনুষদ ভবনে ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের ল্যাব এ আমি উপস্থিত ছিলাম। সে সময় হঠাৎ বারান্দায় চিৎকার চেচামেচি শুনে ল্যাব থেকে বের হয়ে দেখি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের কয়েকজন শিক্ষক শ্রীপতি সিকদার স্যারকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করছেন। পরে আমিসহ কয়েকজন মিলে স্যারকে উদ্ধার করার চেষ্টা করি।

মানব্বন্ধনে ছাত্রনেতারা  বলেন, তাদের শুধু এই ঘটনাই নয় এর আগেও তারা আমাদের সাবেক রেজিস্ট্রার স্যারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। যা তাদের এক ধরনের নিয়মিত  সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মধ্যে পরে। প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম নামধারী এসব শিক্ষকের অনেকেই ইতোপূর্বে জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন যে কারণে তাদের এখনো সেই সন্ত্রাসী আচরণ যায়নি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে এ সকল নামধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো।

মানব্বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলাম, কৃষি অনুষদীয় ছাত্র মো. রিয়াদ খান, সাজেদুর রহমান সৈকত,সরোয়ায় জাহান,গোলাম সরোয়ার ফরহাদ, জাহিদুল ইসলাম শিহাব, রাশিদুন্নবী রাশেদসহ আরও অনেকে। অন্যদিকে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে রেজিষ্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদ।  

ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, আমি বিভিন্ন পত্র পত্রিকার মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি।  স্যারও মৌখিকভাবে বিষয়টি  আমাকে জানিয়েছেন, তবে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দু:খজনক বলে মনে করি। 
কেআই/      
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি