ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মেয়াদ শেষ হলেও হয়নি ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি

ঢাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৯:১৯, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ শাখার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে সাত মাস আগে। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি দিতে পারলেও হল কমিটি দিতে পারেনি ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা। বিগত কয়েক মাস ধরে কমিটি দেওয়ার কথা থাকলেও নানা ছলে সময় পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

ফলে হলগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে নেতৃত্ব সংকট এবং অভ্যন্তরীন কোন্দলে জড়িয়ে পরছেন সংগঠনটির নেতা কর্মীরা। তবে, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কমিটি হবে বলে জানিয়েছন সংঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হল কমিটি দেওয়ার চেষ্টা করছি। অামরা যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব খুঁজছি।

হল কমিটির পদ প্রত্যাশী নেতারা এ ব্যাপারে অভিযোগ করে বলেন, হল কমিটি দিলে সংগঠনটির শীর্ষ চার নেতার প্রটোকল কমে যেতে পারে।প্রটোকল কমে যাওয়ার কারণে তারা হল কমিটি দিতে দেরি করছেন। এদিকে হল কমিটি না দেয়ার কারণে অনেক নেতাকর্মী রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়েছেন।

বিভিন্ন সূত্র জানায়,বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য পদ হারান সংগঠনটির সাবেক শীর্ষ দুই নেতা শোভন-রাব্বানী। তাদের পদ হারানোর পর সংগঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জয়-লেখক। শোভন-রব্বানী পদ হারানোর পর তাদের প্রতিটি হলে রেখে যাওয়া সমর্থিত কর্মী ও হল পদ প্রত্যাশীর মধ্যে অনেকে জয়-লেখকের এলাকার না হওয়ায় বিপদে পড়ছেন পদ প্রত্যাশীরা।জয়-লেখক দায়িত্ব পাওয়ার তাদের এলাকাভিত্তিক অনেক হল পদপ্রত্যাশী নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। একই হলে নতুন নেতার আবির্ভাব হওয়ার কারণে শোভন-রব্বানীর কাছের কর্মীরা জয় লেখকের কাছে যেতে পারিনি। অন্যদিকে জয় লেখক তাদের সমর্থন বা প্রটোকল বাড়াতে হল কমিটি দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের।

গেল বছরের ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন হয়। সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়। এতে সনজিত চন্দ্র দাস সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গত ৩০ মে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাংগঠনিক জেলার মর্যাদা পায়। আর জেলা শাখার মেয়াদ এক বছর। সে হিসেবে গত সাত মাস আগে শেষ হয়েছে বর্তমান কমিটির মেয়াদ। 

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১০ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘জেলা শাখার কার্যকাল এক বছর। জেলা শাখাকে উপরিউক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ আহ্বায়ক বা এডহক কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেবে।’

কেআই/আরকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি