টানা আন্দোলনে বশেমুরবিপ্রবিতে অচলবস্থা
প্রকাশিত : ২২:১৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২২:১৮, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে টানা ৭ম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এর ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে টানা অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যত অচলবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অচলাবস্থায় শিক্ষাজীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অনেকেই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খোন্দকার নিয়াজ মাহমুদ জানান, "ইতিহাসের বিভাগের আন্দোলন সম্পূর্ণ যৌক্তিক। আমরা তাদের দাবির সাথে একমত কিন্তু এভাবে সকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো অধিকার তাদের নেই।"
এই শিক্ষার্থী আরও জানান, "যৌন নির্যাতক আক্কাস আলীর শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করে ইতোমধ্যেই তিন মাসের সেশনজটের শিকার হয়েছি আমরা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, "আমাদের তৃতীয় বর্ষের সকল পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি। এভাবে সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকলে আমরা নিশ্চিভাবেই সেশনজটের শিকার হবো। আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চাই।"
এছাড়া, প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেকেই সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারছেননা। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. ফাহিম শিকদার জানান, 'সুইডেনে স্কলারশিপ সংক্রান্ত কাজে আমার জরুরি ভিত্তিতে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অচল অবস্থার কারণে আমি ট্রান্সক্রিপ্ট সংগ্রহ করতে পারছি না। সঠিক সময়ে ট্রান্সক্রিপ্ট জমা দিতে না পারলে হয়তো আমার স্কলারশিপটি বাতিল হয়ে যাবে।''
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন খুলে দেয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করলেও শিক্ষার্থীরা তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন অনুমোদন না দেয়া পর্যন্ত তারা একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলবেননা।
উল্লেখ্য, ইউজিডি কর্তৃক ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে টানা ৭ দিন যাবৎ আন্দোলন করছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস বিভাগে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ দেয় ইউজিসি।
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন