সিজারে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী কাউসারের নতুন আবিষ্কার
প্রকাশিত : ১৬:৩২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
স্পিজনার অ্যান্ড স্কোপাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্সে বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এপ্লাইড ম্যাথের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাওছার। ১৫ ফেব্রুয়ারী সম্মেলেনটি আয়োজন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
কনফারেন্সটির মূল ট্যাগলাইন ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাইবার সিকিউরিটিতে নতুন আবিস্কারগুলো সামনে নিয়ে আসা। আর দেশকে নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্পর্শে আনা। পৃথিবীর প্রায় ২০টির বেশি দেশ থেকে গবেষক, প্রফেসর, বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণাগুলোর পাশাপাশি দেশের সেরা সবকয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণাগুলো জমা দেন। এরমধ্যে বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডের তালিকায় জায়গা করে নেন নোবিপ্রবির আহমেদ কাওছার।
তার গবেষণাটি ছিল মেশিন লার্নিং অ্যান্ড ডিপ লার্নিং ব্যবহার করে একজন গর্ভবতী নারীর ডেলিভারি মোড প্রিডেকশন করা যাবে।
কাওছার জানান, ‘২০১৯ সালের জুন মাসে তিনি একটি নিউজ দেখেছেন যেখানে প্রতিবেদন করা হয়েছিল বাংলাদেশে সি-সেকশন ৫১% বেড়ে গিয়েছে শেষ ২ বছরে। যেখানে প্রতি বছরে ৪৮৩ মিলিয়ন ডলারে বেশি সি-সেকশনের পেছনে খরছ হচ্ছে যা একদম অপ্রয়োজনীয়। ডাক্তার, মেডিকেল একধরনের মুনাফার লোভে ভয় সৃষ্টি করেছে সিজার করানোর জন্য।’
তিনি জানান, ‘এই গবেষণাটি করার একমাত্র ভিশন এবং মিশন হচ্ছে একজন ডেলিভারি রোগীকে কি সত্যি সিজার করা লাগবে নাকি নরমাল ডেলিভারিতে হবে সেটি এলগরিদম বলে দিবে। আমরা মেশিং লার্নিং এন্ড ডিপ লার্নিং ব্যবহার করে মোটামুটি নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি একজন ডেলিভারি রোগীর কি সত্যি সিজার করা লাগবে কিনা।’
এ শিক্ষার্থী জানান, ‘এই ক্ষেত্রে আমরা ৮৯ শতাংশের বেশি সঠিক প্রিডিকশন করতে সক্ষম হয়েছি। যেহেতু ডাক্তার বা মেডিক্যালগুলো এই ধরণের আবিষ্কারকে তাদের নিজেদের করে নিবে না, তাই তাদের মুনাফার ক্ষতি হবে। তাই ভবিষ্যতে যদি কোনো ফান্ড পাই তাহলে সেটি এমনভাবে প্রোডক্টে ডিজাইন করা হবে যেন মানুষ নিজেরাই ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাদের বেবি ডেলিভারি নর্মালে হবে নাকি সিজারে।’
তাছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণায় কাওছারের আগে ৫টি অ্যাওয়ার্ড ছিল। যার মধ্য ভারতে আসিসি-আইটি, রবি আর-ভেঞ্জার, রাজশাহী ইউনিভার্সির কিংবা বেসিসি আইসিটি অ্যাওয়ার্ড উল্ল্যেখযোগ্য।
কাওয়াছার জানান, এই গবেষণার জন্য আমাদের ডেটা নিয়ে অনেক বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নার্সিং অফিসার রায়হানা ইয়াসমিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাড়াইল কিশোরগঞ্জ আমাদের এই কাজের জন্য সব চাইতে বেশি সহযোগিতা করছে। তাদের প্রতি আমরা অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।
এ কাজে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার জন্য প্রফেসর ড. বাবুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানান এ শিক্ষার্থী।
কাওছার স্বপ্ন দেখেন নোবিপ্রবির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বিশ্ব দরবারে। সে আশা নিয়ে কাওছার যোগদান করেছেন আমেরিকা ভিত্তিক একটি সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে।
এআই/
আরও পড়ুন