জবি বাঁধন কমিটি নিয়ে বিরোধ, অফিসে তালা
প্রকাশিত : ১৫:০৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
কমিটি গঠনে অনিয়মের জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) বাঁধন ইউনিটের অফিসে তালা দিয়েছে গত বছরের কমিটি। দীর্ঘদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয়টির বাঁধন ইউনিটের ২০২০ কমিটি নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল। তারই প্রেক্ষাপটে ২০১৯ কমিটি নতুন কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গত বছরের কমিটির সভাপতি নিয়াজ শরীফ টুটুলের সভাপতিত্বে নতুন কমিটি অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আগের কমিটি সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাঁধন ইউনিটের ২০২০ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় উপদেষ্টাদের হস্তক্ষেপে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ছাত্র উপদেষ্টা মকবুল হাসান সোহান, আমিনুল হক রবিন ও আক্তারুজ্জামান আতিকের বিরুদ্ধে সরাসরি অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
নতুন কমিটি গঠনে স্বজনপ্রীতি, দক্ষ কর্মীদের মূল্যায়ন না করা ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উল্লেখ করে কর্মীদের পক্ষ থেকে সভাপতি প্রধান শিক্ষক উপদেষ্টা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় জোনকেও জানানো হয়।
জবি বাঁধন ইউনিটের সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু সেই কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। আবার শিক্ষক উপদেষ্টারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও জবির ইউনিটের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন। গত সোমবার বাঁধন কর্মীদের উভয় পক্ষের সাথে শিক্ষক উপদেষ্টা বসেও কোনো সমাধান করতে পারেননি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাঁধন জোনের গত কমিটির সভাপতি নিয়াজ শরীফ বলেন, ‘সাবজেক্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠিত কমিটিতে দক্ষ কর্মীদের মূল্যায়ণ না করা এবং কমিটি গঠনে অনিয়ম করায় ২০১৯ কমিটির কার্যকরি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সম্মতিক্রমে ‘কার্যকরি পরিষদ ২০২০’ পাস করা হলো না। পরবর্তী কার্যকরি পরিষদ গঠন না করা পর্যন্ত আগের কমিটি অফিস পরিচালনা করবে।’
তিনি বলেন, ‘অফিসের নিরাপত্তার জন্য আগে ব্যবহৃত দুটি পুরাতন তালা পরিবর্তন করে নতুন তালা লাগানো হয়েছে।’
অভিযোগ আছে, নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাসনিম জান্নাতির সঙ্গে ছাত্র উপদেষ্টা মীর মাহফুজুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ জান্নাতুল ফেরদৌসি তমার সঙ্গে ছাত্র উপদেষ্টা আমিনুর রহমানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। এই দুইজন ছাত্র উপদেষ্টা সাবজেক্ট কমিটিতে না থাকলেও তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কর্মীদের পদে নিয়ে আসেন।
এজন্য সক্রিয় কর্মীরা পদ থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়াও নতুন কমিটির মাসিক সভায় পাশের নিয়ম থাকলেও ছাত্র উপদেষ্টারা তা করতে দেননি। এমন অনিয়ম না করে গঠনতন্ত্রের নিয়ম মেনে কমিটি করার অনুরোধ জানানো হয়।
এআই/
আরও পড়ুন