হাবিপ্রবি`তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
প্রকাশিত : ২৩:০০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাত ফেরী- একুশে টেলিভিশন
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২০ পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় কালো ব্যাজ ধারণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম’র নেতৃত্বে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরী বের হয়। প্রভাত ফেরীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেয়।
প্রভাত ফেরী শেষে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম। এরপর ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কোষাধক্ষ্য, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, ডীনবৃন্দ, অনুষদীয় এসোসিয়েশনসমুহ, প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারীক্লাব, সাংবাদিক সমিতি, শাখা ছাত্রলীগ, গ্রীন ভয়েসসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পুস্পস্তবক অর্পন শেষে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপাচার্যের বাণী পাঠ ও বিতরণ করা হয়।
উপাচার্য তার বাণীতে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের জাতীয় চেতনা ও ঐতিহ্য বিকাশে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য অপরিসীম। একুশে ফেব্রুয়ারি এক দিকে যেমন শোক ও বেদনার, অন্য দিকে তেমনি শক্তি ও প্রেরণার। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষা ‘বাংলা’ ও স্বতন্ত্র সংস্কৃতি। ভাষা আন্দোলন আমাদের অন্তরে যে চেতনা ও শক্তি যুগিয়েছিল সেটিই পরবর্তীতে প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামকে বেগবান করে তোলে। ২১’র আন্দোলনের পথ বেয়েই এগিয়ে গেছে আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন। এর চূড়ান্ত ফসল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
উপাচার্য তার বক্তব্যে ১৯৫২ ও ১৯৭১কে মহাপ্রেরণার উৎস বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশার সম্বনয় থাকবে সেটাই আমাদের কাছে কাঙ্খিত। এ চেতনাকে সঙ্গে করেই জাতির অগ্রযাত্রা নিশ্চিত হতে পারে। শুধু ভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতিই নয়, সমগ্র সত্ত্বা নিয়ে জাতি উঠে দাঁড়াক বিশ্বসভায় এই প্রত্যাশা করছি। বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা ও সুস্থ অনুশীলনের মাধ্যমে নিজস্ব সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে আগামী প্রজন্মের কাছে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ রেখে যাব- মাতৃভাষা দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
এর আগে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও শাখা ছাত্রলীগের আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং বাদ জোহর ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন