নোবিপ্রবিতে ৪ দিনব্যাপী ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন কাল
প্রকাশিত : ১৬:৩৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আগামিকাল বুধবার থেকে চার দিনব্যাপী ‘ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন’ শুরু হতে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন ২০২০ এর মহাসচিব সাগিরুল আলম এবং মহাপরিচালক মোসাদ্দেক বিল্লাহ এ তথ্য জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর একাডেমিক ভবনের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ক্লাসরুমে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রতিনিধিদের কোলাহলে মুখরিত হতে যাচ্ছে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ।
২০১৫ সালে এই সংস্থাটি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু করে। এর ঠিক পরের বছরই তারা একটি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তর থেকে বিপুল সাড়া পায়।
এরপর তাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন। যেখানে সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি জড়ো হয়েছিলেন।
এরপর ২০১৮ সালেও এই সংস্থাটি তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সমর্থ হয়। গত দুই বছরের আয়োজন ধারাবাহিকভাবে অত্যন্ত সন্তোষজনক এবং সর্বমহলে সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। এবারও বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণকারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফলপ্রসূ একটি সম্মেলনের আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা সম্মেলন সফল করতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাইরে থেকে আগত প্রতিনিধিদের সঠিকভাবে আতিথেয়তা প্রদান এবং পূর্বের সম্মেলনগুলোর ন্যায় মান অক্ষুণ্ণ রাখাই এখন তাদের মূল লক্ষ্য।
ছায়া জাতিসংঘ একটি সহশিক্ষা কার্যক্রম যাতে শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘ এবং জাতিসংঘের আদলে সাজানো কমিটিগুলোতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। জাতিসংঘের আদলে ছায়া সম্মেলনে বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর কিভাবে সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব সে বিষয়টি সম্পর্কেও জানা যায় এই সম্মেলন থেকে।
শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে কূটনৈতিক, আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক অঙ্গন, জাতিসংঘ ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা লাভ করে থাকে। এছাড়া এর মাধ্যমে আত্মন্নয়নমূলক বিভিন্ন গুণাবলি যেমন, গঠনমূলক চিন্তাধারা, সৃজনশীলতা, নেতৃত্ব, সংকটপূর্ণ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সাবলীল বাচনভঙ্গি, দলগতভাবে কাজ করা, সুস্থ বিতর্ক চর্চা ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে থাকে।
এ প্রসঙ্গে নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম বলেন, ‘নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকা অবশ্যম্ভাবী। ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ সবসময় সমর্থন পেয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও পাবে। এই সম্মেলনের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।’
এআই/এসি
আরও পড়ুন