ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

`বসন্ত উৎসব` এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো জবিসাকের সাংস্কৃতিক উৎসব

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২৩:০৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (জবিসাক) ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্য দুইদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ শেষ দিনে 'বসন্ত উৎসব' এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে ‘বসন্ত উৎসব’কে ধারণ করে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্যরা গান, নাচ, আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপদেষ্টা চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশিদ খাঁন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, সংস্কৃতি বিজ্ঞান ছাড়া এগিয়ে যেতে পারে না । শিল্প ও সংস্কৃতির হাত ধরেই সকল বড় বড় পরিবর্তন এসেছে। জবির ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের সাংগঠনিক আচরণ শেখাতে সর্বাত্মক সহায়তা করবে। তাই পড়ালেখার পাশাপাশি এসব সংগঠনে জড়িত থাকার বিকল্প নেই। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষ সংগঠক হতে হবে। তিনি এই সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাজের প্রশংসা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করার পরই এমন সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। তখন মারামারি হাতাহাতি সংস্কৃতি ছিল। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে উঠেছে। আমি চাই এটি অব্যাহত থাকুক এর জন্য আমার জায়গা থেকে সর্বাত্মক সাহায্য করব।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি ফাইয়াজ হোসেন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মাহাদী সেকেন্দার।

উৎসবের ১ম দিন মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ র‍্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে শুরু হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে পুনর্মিলনী এবং নবীনবরণ শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাকালীন ও পরবর্তী সময়ের নেতৃবৃন্দ ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কেআই/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি