দোষারোপের বেড়াজালে শেকৃবির কেন্দ্রীয় মসজিদের নির্মাণ কাজ
প্রকাশিত : ১৬:৪৬, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে কচ্ছপ গতীতে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ বছরে ১০ মাসেও শেষ হয়নি মসজিদের নির্মাণকাজ।
টেন্ডার অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২২ মে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রথম ধাপের কাজই শেষ হয়নি। বরং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে প্রকল্পের প্রথম ধাপের মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করেছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও ঠিকাদার একে-অপরকে চিঠি ছোঁড়াছুড়ির মাধ্যমে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে অবকাঠামো সংস্কার কাজের দীর্ঘসূত্রতায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখা থেকে প্রাপ্ত সূত্রানুযায়ী, ২০১৭ সালের ২২ মে শেকৃবি কেন্দ্রীয় মসজিদের স্থাপনার জন্য তিনতলা ভবনের ১২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে নিচতলা নির্মাণের জন্য প্রায় পৌনে ৫ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়।
টেন্ডারের মাধ্যমে মসজিদটি নির্মাণের কার্যাদেশ প্রদান করা হয় ২০১৭ সালের ২২ মে। কার্যাদেশ অনুযায়ী মসজিদটির নিচতলা নির্মাণের জন্য এক বছরের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২২ মে মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত সম্পন হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আজিজুর রহমান বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাফর বিল্ডার’স লিমিটেডের অবহেলার কারণে মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হচ্ছে না। আমরা বারবার তাদেরকে (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান) চিঠি দিয়েছি কিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাফর বিল্ডারস লিমিটেডের ডিরেক্টর মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের ওপর আরোপিত দোষারোপ ভিত্তিহীন। রমজান মাস এবং পানির সমস্যার কারণে কাজ শুরু করতে নির্ধারিত সময়ের চাইতে চার মাস বিলম্ব হয়েছে। ওই জায়গায় একটি পুরাতন মসজিদের ভবন ছিল যা ভাঙতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছয় থেকে সাত মাস দেরি করেছে। এছাড়াও মনোগ্রামে উল্লিখিত দেশি ইটের বদলে সিরামিকের ইট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতেও প্রশাসন দেরি করেছে। সব মিলিয়ে কাজটি শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে।’
কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কাজের মেয়াদ আগামী মার্চের ২০ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছি। আশা করি এর মাঝে কাজ শেষ করতে পারব।’
এআই/আরকে
আরও পড়ুন