শিবির বলার প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ
প্রকাশিত : ১৯:৩২, ৯ মার্চ ২০২০
বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলনরত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের জামাত-শিবির বলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানসহ প্রায় ৩০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ইউজিসি কর্তৃক ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে অ্যাকাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে মিটিংয়ে বসে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়।
উপাচার্যকে অবরুদ্ধের বিষয়ে মুখপাত্র কারিমুল হক জানিয়েছেন, ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন এর দাবিতে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইতিহাস বিভাগের সকলকে জামাত-শিবির বলায় উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
২ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বেলা সোয়া ৫ টার দিকে একাডেমিক ভবনের তালা খুলে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে ২ ঘন্টার জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হন অবরুদ্ধ শিক্ষকরা।
এ দিকে শিক্ষার্থীদের জামায়াত-শিবির বলে মন্তব্য করার বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলত্বি উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন কিছু ডাকার ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে, সকালে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অর্থসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ফলে প্রশাসনিক কোনো কর্মকর্তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রবেশ করতে না পারায় প্রশাসনিক কার্যক্রমও পরিচালনা করতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ইউজিসির অনুমোদন ব্যতীত বশেমুরবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরুদ্দিন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় ৩ বছর পর বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিভাগটিতে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ দেয় ইউজিসি। ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওইদিন রাত থেকেই আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বিভাগটিতে বর্তমানে ৪২৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন