কিভাবে ভর্তি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের আইভিলীগভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
প্রকাশিত : ২৩:২৪, ৯ মার্চ ২০২০
ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে সারির প্রথম দিকে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্রের আইভিলীগভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শুধুমাত্র পড়ালেখা নয় বরং সমাজ সংস্কারমূলক কাজ, খেলাধুলা বা অন্যান্য সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করে নিয়েছে আইভিলীগভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
১৯৩৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার ধারণা আসলেও, ১৯৫৪ সালে সেরা ৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত অংশগ্রহণে ন্যাশনাল কলিজিয়েট অ্যাথলেটিক এ্যাসোসিয়েশনের একটি শরীরচর্চা বিষয়ক সম্মেলনে আইভিলীগ স্কুলের যাত্রা শুরু হয়।
আইভি লীগে রয়েছে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, করনেল বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, পেনিসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ডার্থ মাউথ কলেজ।
আইভিলীগের বিশেষত্ব কি?
আইভিলীগে ৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খেলার দলগুলোকে নিয়ে একটি সম্মিলিত দল তৈরি করা হয়। যারা শুধু খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে না বরং একাডেমিক পড়াশোনায় অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকে। এখানকার শিক্ষার্থীদের সমাজ সেবামূলক কাজ সকলের প্রশংসা লাভ করে।
অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম কিছু কাজ করায় আইভিলীগভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির হারও অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। যা তাদের তথাকথিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা জায়গা তৈরি করে দিয়েছে।
এমনকি আইভিলীগ তাদের উৎকর্ষতার জন্য যুক্তরাজ্য, চীন, জাপানসহ অন্যান্য দেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। আইভিলীগের এমন মর্যাদাশীল অর্জনের জন্য অ্যামেরিকার মিডিয়াগুলোও তাদের কার্যক্রম জনগনের সামনে সম্মানের সঙ্গে তুলে ধরে।
আইভি লীগের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া:
বাংলাদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা আইভি লীগভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারেন। এজন্য উচ্চ একাডেমিক রেকর্ডের পাশাপাশি ক্যারিকুলাম বহির্ভুত সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িত করতে হবে।
২০২১ শিক্ষাবর্ষে আইভিলীগভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য মোট আবেদনকারী ছিলো ২ লাখ ৮১ হাজার ৬০ জন। এদের মধ্যে মাত্র ১০ভাগ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। তাই মনে রাখতে হবে যারা এখানে ভর্তির সুযোগ পাবে তারা শুধু স্মার্টই নয় বরং স্পেশাল।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর কলেজ অ্যাডমিশন কাউন্সিলের মতে, আইভিলীগভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি হতে হলে অবশ্যই অত্যন্ত ভালো মানের গ্রেড ও স্কোর থাকতে হবে। তবে সমাজ সংস্কারমূলক কাজ, খেলাধুলা বা সৃজনশীল কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তা শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে অনেকটা সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে খেলাধুলা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ দিতে হবে আবেদনের সময়।
অবশ্যই মনে রাখতে আইভিলীগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদেরকেই চায় যারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে। সফলতার জন্য যারা মরিয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন