ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

স্মরণে সুভাষ দত্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২০, ১৬ নভেম্বর ২০২১

ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রথম যুগের গুণী অভিনেতা, চিত্রশিল্পী ও পরিচালক সুভাষ দত্ত। কৌতুক অভিনেতা হিসেবে তার জনপ্রিয়তা ছিল পাহাড় সমান। পরে অবশ্য চিত্রনায়কও হয়েছিলেন তিনি। কিংবদন্তি এ চলচ্চিত্রকারের মৃত্যুবার্ষিকী ১৬ নভেম্বর। ২০১২ সালের এ দিনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সুভাষ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরে। 

সুভাষ দত্তের পেশাগত জীবন শুরু হয় বাণিজ্যিক চিত্রশিল্পী হিসেবে। ১৯৫৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ দেখে চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। এহতেশামের ‘এ দেশ তোমার আমার’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এ দেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর পোস্টার ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন তিনি। মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রে আর্ট ডিরেকশনের মধ্য দিয়ে তার পরিচালনা জীবন শুরু হয়।

১৯৬৪ সালের ২৩ এপ্রিল মুক্তি পায় সুভাষ দত্ত নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সুতরাং’। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পায়। এ ছবি দিয়েই অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা কবরীর।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর বুকে, সূর্যস্নান, চান্দা, তালাশ, নতুন সুর, রূপবান, মিলন, নদী ও নারী, ভাইয়া, ফির মিলেঙ্গে হাম দোনো, ক্যায়সে কাহু, আখেরি স্টেশন, সোনার কাজল, দুই দিগন্ত, সমাধান। তার পরিচালিত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সুতরাং, কাগজের নৌকা, আয়না ও অবশিষ্ট, আবির্ভাব, বলাকা মন, সবুজ সাথী, পালাবদল, আলিঙ্গন, বিনিময়, আকাক্সক্ষা, বসুন্ধরা, সকাল সন্ধ্যা, ডুমুরের ফুল, নাজমা, স্বামী স্ত্রী, আবদার, আগমন, শর্ত, সহধর্মিণী, অরুনোদয়ের অগ্নিসাক্ষী ইত্যাদি।

১৯৭৭ সালে ‘বসুন্ধরা’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান সুভাষ দত্ত। এরপর একুশে পদকও অর্জন করেন তিনি।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তার সুদীর্ঘ কর্ম জীবনে অসামান্য অবদানের কথা আজও স্মরণে রেখেছে সিনেমা প্রেমীরা।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি