ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঐশ্বরিয়াকে একা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন এই পরিচালক!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৫, ১৮ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৭, ১৮ মার্চ ২০২২

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও হার্ভে উইনস্টেইন

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও হার্ভে উইনস্টেইন

‘মিটু’ নিয়ে যখন লাজ-লজ্জা দূরে ঠেলে হলিউড-বলিউড সরব, তখন আন্দোলনকারীদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। যদিও নিজের কোনো খারাপ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে জানাননি এই বিশ্বসুন্দরী।

যার ফলে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হয়তো তেমন কোনো অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হননি। একদিকে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব, অন্যদিকে তারকাদের সঙ্গে সম্পর্ক- তারপর বচ্চন পরিবারের একজন হয়ে ওঠা ঐশ্বরিয়াকে হয়তো কু-প্রস্তাব দেয়া ততো সহজ ছিল না।

কিন্তু এই ধারণা যে পুরোপুরি ঠিক নয়, তা সম্প্রতি জানা গেল ঐশ্বরিয়ার এক সাবেক ম্যানেজারের কথা থেকে।

ঐশ্বরিয়ার ওই ম্যানেজারের নাম সিমন শেফিল্ড। আন্তর্জাতিক সিনেমায় ঐশ্বরিয়ার যাবতীয় কাজের দেখাশোনা করতেন এই আমেরিকান। তিনি মূলত একজন ট্যালেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া টেলিভিশন ও ফিল্ম প্রযোজনা এবং সঙ্গীত সমন্বয়ক হিসেবেও কাজ করতে দেখা যায় তাকে। 

বলিউডে ঐশ্বরিয়া রাই ছাড়াও বিপাশা বসুর ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন সিমন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ঐশ্বরিয়ার জন্য এক সময় মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন হলিউডের পরিচালক হার্ভে উইনস্টেইন। এমনকি বলি সুন্দরী কাছে পেতে সরাসরি প্রস্তাবও রেখেছিলেন সিমনের কাছে।

হার্ভে হলেন সেই খ্যাতনামা পরিচালক, যাকে ঘিরেই হলিউডের ‘মিটু’ আন্দোলনের সূত্রপাত। হলিউডের প্রথম সারির সব অভিনেত্রী এক যোগে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন হার্ভের বিরুদ্ধে।

অভিযোগকারিণীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, গিনেথ প্যালট্রো, জেনিফার লরেন্সের মতো অভিনেত্রীরাও। বস্তুত, তারপর থেকে হার্ভেকে হলিউডের ‘সেক্সুয়াল প্রিডেটর’ বা যৌন হেনস্থাকারী বা যৌন শিকারি তকমাও দেয়া হয়।

সেই হার্ভের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার দেখা হয়েছিল কীভাবে? কবে? সিমন জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন ঐশ্বরিয়া। তখন তিনি বিবাহিতা। সঙ্গে ছিলেন স্বামী অভিষেক বচ্চনও।

বলিউডের বাইরে তখন বেশ কিছু কাজের প্রস্তাবও আসতে শুরু করেছিল ঐশ্বরিয়ার কাছে। মাঝে মধ্যেই কাজের প্রয়োজনে হলিউডের শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে আসছিলেন তিনি। সেই সময়েই বেশ কয়েকবার ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন হার্ভে।

ম্যানেজার হিসেবে ওই সব বৈঠকে ঐশ্বর্যার সঙ্গেই থাকতেন সিমন। তিনি জানিয়েছেন, বহুবার হার্ভে তাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সিমন ইচ্ছে করেই সেই সব ইঙ্গিত বুঝতে চাননি।

একবার তেমনই এক বৈঠকে ঐশ্বরিয়ার চোখের আড়ালে সিমনকে একা পেয়ে চেপে ধরেন হার্ভে। সিমন জানান, হার্ভে তাকে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, ঐশ্বরিয়াকে একা ঘরে পেতে হলে তাকে কী করতে হবে?

জবাবে সিমন যা বলেছিলেন, তার সবটা তিনি প্রকাশ্যে জানাতে পারেননি। বলেন, সেগুলো ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করা অনুচিত। তবে সিমন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তার গ্রাহককে ছোঁয়ার কোনো সুযোগই তিনি দেবেন না হার্ভেকে।

সিমন শেফিল্ড ও ঐশ্বরিয়া

সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে হলিউডের পরিচালককে ‘শূকর’ বলে উল্লেখ করে সিমন বলেন, ‘‘ঐশ্বরিয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ও যা করছিল, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এমনকি, আমাকেও আমার ক্যারিয়ার নিয়ে হুমকি দিতে ছাড়েনি হার্ভে।’’

বদলা নিতে সে দিন হোটেলে ফিরে হার্ভেকে একটি শূকরের খাবারের (স্টিলের) পাত্র পাঠিয়েছিলেন সিমন। তাতে ভরে দিয়েছিলেন ডায়েট কোক।

সাধারণভাবে পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া দাওয়াকে ডায়েট বলা হয়। সিমনও সম্ভবত হার্ভেকে তার ‘ক্ষুধা’ নিয়ন্ত্রণের বার্তাই দিতে চেয়েছিলেন।

তবে, ঐশ্বরিয়া এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না, তিনি এর কিছুই টের পাননি। সিমনের সাক্ষাৎকার থেকে তেমনটাই জানা যায়। ঠিক যেমন, সিমনের এই দাবির পরও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ঐশ্বরিয়াও। সূত্র- আনন্দবাজার।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি