ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আজও তিনি নায়ক রাজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের ৮২তম জন্মদিন আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি)। ১৯৪২ সালের এই দিনে তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মুকুটহীন রাজা ছিলেন তিনি।

তিনশটিরও বেশি চলচ্চিত্রে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করা রাজ্জাকের পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না। তার দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনে অনেক সিনেমা দর্শক হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। 

অভিনয় জীবনের সূচনা করতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। সিনেমার নায়ক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। তাই রাজ্জাক ১৯৫৯ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে সিনেমার ওপর ডিপ্লোমা গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালের কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হলে এক রাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরের দিন ২৬ এপ্রিল পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তার সাথে ছিল তার স্ত্রী লক্ষী ও পুত্র বাপ্পারাজ এবং পীযূষ বসুর দেওয়া একটি চিঠি ও পরিচালক আব্দুল জব্বার খান ও শব্দগ্রাহক মণি বোসের ঠিকানা।

ঢাকায় এসে কমলাপুরের ছোট্ট একটি বাসায় মাসিক ৮০ টাকা ভাড়ায় থাকা শুরু করেন। আব্দুল জব্বারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আব্দুল জব্বার তাঁকে অভিনয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে সুভাষ দত্ত ও এহতেশামের মতো পরিচালকদের সঙ্গে রাজ্জাকের পরিচয় হয়। ১৯৬৬ সালে ‘ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে রাজ্জাকের। ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা।

রোমান্টিক হিরো ছিলেন রাজ্জাক। যার সঙ্গেই জুটি গড়েছেন, সেটাই হিট। রাজ্জাকের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে অভিনেত্রী সুচন্দা, কবরী, ববিতা ও শাবানাকে।

নায়ক হিসেবে এ অভিনেতার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল শফিকুর রহমান পরিচালিত ‘মালামতি’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন। নায়করাজ রাজ্জাক সর্বশেষ তার বড় ছেলে নায়ক বাপ্পারাজের নির্দেশনায় ‘কার্তুজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও প্রযোজনা এবং পরিচালনাও করেছেন। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও আজীবন সম্মাননা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন।

রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘মধু মিলন’, ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘কী যে করি’, ‘অবুঝ মন’, ‘রংবাজ’, ‘বেঈমান’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘বাদী থেকে বেগম’ ইত্যাদি। 

সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন চিত্রনায়ক রাজ্জাক। প্রযোজক হিসেবে নায়ক রাজের যাত্রা শুরু ‘রংবাজ’ ছবিটি প্রযোজনার মধ্য দিয়ে। এটি পরিচালনা করেছিলেন জহিরুল হক। রাজ্জাকের বিপরীতে ছিলেন কবরী। ববিতার সঙ্গে জুটি বেঁধে নায়করাজ প্রথম নির্দেশনায় আসেন ‘অনন্ত প্রেম’ চলচ্চিত্র দিয়ে। এই ছবিটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে। নায়ক হিসেবে এ অভিনেতার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল শফিকুর রহমান পরিচালিত ‘মালামতি’। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন।

নায়করাজ রাজ্জাক সর্বশেষ তার বড় ছেলে নায়ক বাপ্পারাজের নির্দেশনায় ‘কার্তুজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামও অভিনয় করেছিলেন।

২০১৭ সালের ২১ আগস্ট নায়করাজ চলে যান না ফেরার দেশে। 
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি