অমিতাভ-রেখার রহস্যময় প্রণয়োপাখ্যান
প্রকাশিত : ১৬:৪৩, ১৩ অক্টোবর ২০১৭
অমিতাভ-রেখা। বলিউডের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রোমান্টিক জুটি। রূপালি পর্দায় এই জুটির সোনালি দিন পেরিয়ে গেছে বহু আগেই। কিন্তু এদের জুটির সেই চিরকালীন আবেদন আজও এতোটুকু মলিন হয়নি।
যদিও ১৯৮২ সালের সুপার ডুপার হিট ছবি ‘সিলসিলা’র পর থেকে কোনো ছবিতেই আর একসঙ্গে দেখা যায়নি এই জুটিকে। তবুও সিলসিলা ছবিতে দর্শকরা তাদের দুজনের যে সম্পর্কের রসায়ন দেখেছেন, তা যে আসলে দুজনের মধ্যেকার গভীর এক বাস্তব প্রেমেরই প্রতিফলন তা ভক্তদের দৃষ্টি এড়াতে পারেনি।
অমিতাভ, রেখা ও জয়া বচ্চন অভিনীত `সিলসিলা` ছবিটির গোটা কাহিনী এই তিন অভিনেতা অভিনেত্রীর জীবনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বলে অনেকে দাবি করেন। জয়া বচ্চনকে স্ত্রী হিসেবে পেয়েও রেখার সঙ্গে এককালে সম্পর্কে লিপ্ত হন অমিতাভ। এমনটাই এক সময়ে শোনা গিয়েছিল। আর সেই জিনিসই তুলে ধরে যশ চোপড়ার ছবি `সিলসিলা`।
এক সাক্ষাৎকারে একবার রেখা বলেছিলেন, অভিনেতা অমিতাভের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা। সেই সময়ে তিনি বলেছিলেন, অমিতাভ বাচ্চনের মুখোমুখি দাঁড়ানোটা সহজ বিষয় ছিল না।
রেখার সঙ্গে যখন অমিতাভের প্রথম দেখা হয়, ততদিনে অমিতাভ জয়া বচ্চনের স্বামী। রেখা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তিনি অমিতাভকে `দিদিভাই` জয়ার স্বামী হিসেবেই চিনতেন প্রথম থেকে।
অমিতাভকে কেমন লেগেছিল? এই প্রশ্নের জবাবে রেখা বলেছিলেন, ‘আমি কোনো সাধারণ কাউকে দেখে ইম্প্রেসড হই না। তবে তিনি এমনই ছিলেন যাঁকে আগে কখনো দেখিনি। আমি তাঁকে কখনও যন্ত্রণা ব্যক্ত করতে দেখিনি।‘
সময় পাল্টে গেছে। বয়স বেড়েছে দুজনার। তবুও ৬৩ বছর বয়সী রেখা এখনও বলিউডের যেকোনও নায়িকাকে রূপ-যৌবনে অনায়াসে হার মানিয়ে দিতে পারেন। অপরদিকে চির তরুণ অমিতাভ নিজেকে ধরে রেখেছেন খ্যাতির আলো দিয়ে।
১০ অক্টোবর ছিল রেখার জন্মদিন। আর ১১ অক্টোবর ছিল মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিন। এখনও প্রশ্ন আসে ভক্তদের কাছে- রেখা কি কখনও অমিতাভের প্রেমে পড়েছিলেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে রেখা বলেন, যে ব্যক্তিত্বের প্রেমে আমাপমর জনগণ পড়েছেন, তাঁর প্রেম না পড়ে থাকা যায় না।
মূলত: প্রতিক্ষেত্রেই রেখা অমিতাভ প্রসঙ্গে সরাসরি উত্তর না দিয়ে তা এড়িয়ে গিয়েছেন কিংবা মুখে কুলপ এঁটেছেন।
১৯৭৮ সালে `গঙ্গা কি সৌগন্ধ` ছবির শ্য়ুটিংয়ের সময় রেখার সঙ্গে এক ব্য়ক্তি অসভ্য আচরণ করেন। সেই জন্য় অমিতাভ অত্য়ন্ত চটে যান বলে শোনা যায়। তখন থেকেই তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি বাইরে আসতে থাকে।
শোনা যায়, ইন্ডাস্ট্রিতে একটা সময়ে এই সম্পর্কের কথা রটতে থাকে। এরপর জয়া বাচ্চনের কানে সে কথা যায়। তবে জয়া প্রথম থেকেই নাকি দাবি করেছিলেন, যা কিছু হয়ে যাক, তিনি অমিতাভকে ছেড়ে যাবেন না।
এরপর রেখার সিঁদুর পরা নিয়েও একটা সময়ে বেশ চর্চা হয়। প্রথমে ঋষি কাপুর ও নীতু সিং এর বিয়েতে দেখা যায় রেখাকে সিঁদুর পরে হাজির হতে। যদিও পরবর্তীকালেও বহুবার রেখাকে সিঁদুর পরে থাকতে দেখা গেছে।
আশির দশকে ফিল্মী অঙ্গনের সবচাইতে বড় গসিপ ছিল বলিউড দুনিয়ার রাজা-রাণী অমিতাভ আর রেখার প্রণয়োপাখ্যান। অমিতাভ এবং রেখার সম্পর্কের বিষয়টি ঘিরে আজ পর্যন্ত মানুষ বিশ্বাস করে যে, রূপালী পর্দার এই দুই বিখ্যাত জনের মাঝে কিছু-না-কিছু না থেকেই পারে না। কখনোই পাদপ্রদীপের আলোয় না আসা সেই প্রেম কাহিনী আজও রহস্য থেকে গেছে অসংখ্য ভক্তদের মনে।
সূত্র : অন ইন্ডিয়া
এসএ/ডব্লিউএন