চলে গেলেন প্রথম নারী প্রযোজক মালতী দে
প্রকাশিত : ১৫:৪০, ১১ নভেম্বর ২০১৭
দেশীয় চলচ্চিত্রের ‘প্রথম নারী প্রযোজক’ ও অভিনেত্রী মালতী দে (৮৬) আর নেই। গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক সমস্যায় ভুগছিলেন মালতী দে।
রাজধানীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ নভেম্বর, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তিনি ৩ নভেম্বর থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। নিউরোলজিস্ট কনক বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
এসব তথ্য জানান মালতী দের ছেলে ও নির্মাতা উত্তম আকাশ। তাঁর মৃত্যুতে এফডিসিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মালতী দে দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মালতী দে প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন বিশিষ্ট নির্মাতাদের সিনেমাতেও। এই তালিকায় আছেন ঋত্বিক ঘটক, জহির রায়হান, খান আতাউর রহমান প্রমুখ। তাঁর অভিনীত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘সুখ-দুঃখ’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘আপন পর’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ প্রভৃতি।
উত্তম চিত্রকথার প্রযোজক হিসেবে মালতী দে ছিলেন সফল। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ‘দিদি’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তাঁর প্রযোজিত ছবির মধ্যে রয়েছে ‘ঘাত-প্রতিঘাত’, ‘মুক্তির সংগ্রাম’, ‘আখেরি হামলা’, ‘রঙিন রংবাজ’, ‘দুষ্ট ছেলে মিষ্টি মেয়ে’, ‘তুই যদি আমার’ প্রভৃতি।
মালতী দের মৃত্যুতে নায়ক ওমর সানি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি তাঁকে কি বলবো রত্মপ্রভা নাকি একজন স্বামীর সার্থক স্ত্রী, নাকি পাঁচ সন্তানের সার্থক জননী, নাকি একটি (উত্তম চিত্র কথা) প্রতিষ্ঠানের সার্থক কর্ণধার, নাকি সার্থক একজন অভিনেত্রী, নাকি মানুষ গড়ার কারিগর, নাকি একজন যোদ্ধা। কি বলবো আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
বিগত ২৭ বছর যাবৎ তাঁকে আমি ‘আন্টি’ বলতে পারিনি শুধু ‘মা’ ডেকেছি।
আমার ‘মা’ ইন্তেকাল করেছেন আরো ১৭ বছর আগে, তারপর থেকে উনিই আমাকে ‘মা’ এর মতো ছায়া দিয়ে রেখেছেন।
যে ওমর সানী`কে দেখছেন তার পেছনে কয়েকজন মানুষের অবদান রয়েছে। তার মধ্য বেশী অবদান রয়েছে এই মানুষটির।
সার্থক ‘মা’ আপনি, একজন স্বামীর সার্থক স্ত্রী, পাঁচ সন্তানের সার্থক জননী।
আপনার সন্তান পাঁচ জন না ‘মা’ আমিসহ ছয় জন। আপনি আমাদের সার্থক ‘মা’।
‘মা গো’ আপনি আমার গর্ভধারিনী ‘মা’ এর মতো একজন ‘মা’।
সবশেষে একটা কথাই বলবো ‘মাগো’ ‘সার্থক জনম আপনার সার্থক আপনার মৃত্যু’।
সেখানে থাকবেন আপনি ভালো থাকবেন। আমি আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
এসএ/ডব্লিউএন