সেনা জওয়ানের ‘যৌন নিগ্রহের’ শিকার বিদ্যা বালান!
প্রকাশিত : ১৭:৫৩, ১২ নভেম্বর ২০১৭
‘যৌন হয়রানির পরিভাষা খুবই ব্যাপক। এর অর্থ অনেক কিছুই হতে পারে। শুধু শরীরে হাত দেওয়া, অশ্লীল কথা বলা বা শ্লীলতাহানিই যৌন হয়রানি নয়- কখনো কখনো লোকজন আপনাকে চোখের ভাষায়ই বলাৎকার করে দেয়।’- এ কথাগুলো বলেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান।
সম্প্রতি বিদ্যা বালান নিজ দেশের এক সেনা সদস্যর দ্বারা ‘যৌন নিগ্রহের’ শিকার হওয়ার কথা প্রকাশ করেছেন।
বিদ্যা বালান বলেন, আমাদের মধ্যে সচেতনতা কাজ করছে যে প্রত্যেক মেয়েই বুঝতে পারছে সে একা নয়। আজকাল সে নিজেকে দোষী মেনে না নিয়ে প্রকৃত দোষীরই মুখোশ খুলে দিচ্ছে। যখন আমি লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতাম তখন চেনবুর স্টেশন থেকে বিটি স্টেশনে আসা যাওয়া করতাম। কলেজে পড়ার ওই দিনগুলোতে প্রায়ই কেউ না কেউ আমার শরীরে চিমটি কেটে দিত, কেউ হাত চালিয়ে দিত। আমার খুব রাগ হতো। তখন চিৎকার করে হাত তুলে রুখে দাঁড়াতাম। আমি মনে করি এ ধরনের ঘটনায় চুপ করে থাকা অনুচিত।
তিনি আরও বলেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আজ আমি ১২ বছর পার করেছি। এখন পর্যন্ত আমার সঙ্গে এমন উল্টা-সিধা কিছু করার সাহস কারো হয়নি। তবে কলেজ জীবনে এমন হয়রানির শিকার হয়েছি।
নতুন তথ্য দিয়ে বলিউড তারকা বিদ্যা বলেন, কলেজে যাওয়ার পথে বিটি স্টেশনে দাঁড়ানো সেনাবাহিনীর এক জওয়ান আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। সে অনবরত আমার স্পর্শকাতর অঙ্গের দিকে তাকিয়ে দেখছিল এবং একপর্যায়ে চোখাচোখি হতেই আমাকে চোখ মারে।
প্রচণ্ড রাগে আমার সারা শরীরে আগুন ধরে যায়। আমি তার দিকে তেড়ে গেলাম এবং বললাম- ‘আপনি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে দেখছেন কী? আমাকে চোখ মারলেন কেন? আপনি আমাদের দেশের সৈনিক। দেশের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব আপনার আর আপনি আমাকে চোখ মারছেন? এটা কোন ধরনের ছেঁচড়ামি?’
ওই ঘটনার সময়ে আমার সঙ্গে এক বান্ধবী ছিল। সে হাত টেনে আমাকে সরিয়ে নিতে চাচ্ছিল ওখান থেকে। কিন্তু আমি এতে থেমে যাইনি। আমার শাসানিতে শেষপর্যন্ত ওই জওয়ান খুবই লজ্জিত হয়।
সূত্র : এনবিটি
এসএ/এআর