ছাড়পত্র পেল জাফর ইকবালের ছবি
প্রকাশিত : ১৯:২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ০৯:৪৯, ১৬ নভেম্বর ২০১৭
প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘‘আঁখি এবং আমরা কজন’’ ছবিটি বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত এ ছবিটি ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে।
ছবির নাম ভূমিকায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছে জাহিন নাওয়ার হক ইশা। সে একজন অন্ধ কিশোরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছে। এ ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মুস্তফা, তারিক আনাম খান, আল মনসুরসহ অনেকে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় মোরশেদুল ইসলাম এর আগেও মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্পে কিশোর উপন্যাস ‘দীপু নাম্বার টু’ এবং ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ নির্মাণ করেছেন।
ছবির গল্পে দেখা যাবে, বাসা ও স্কুল মিলিয়ে তিতুর জীবন দুর্বিসহ। ডাকনাম তিতু হলেও সবাই তাকে তিতা ডাকে। কোনো কিছুই তার ভালো লাগে না। স্কুলের শিক্ষকরা শিশুদের মন বোঝে না। খালি বকাঝকা করেন। স্কুলের লাইব্রেরিতে যাওয়া যায় না। সেটা তালাবন্ধ থাকে। না বুঝে খালি পড়া মুখস্ত করতে হয়। বাসায় তার বড় ভাই টিটু মুখস্ত করায় ওস্তাদ। তাই সবার কাছে সে ভালো। তিতু মুখস্ত করে না তাই সবাই বলে- তার পড়াশোনায় মন নাই।
তিতুদের স্কুলে নতুন হেডমিস্ট্রেস হয়ে আসেন ড. রাইসা। তিনি সবকিছু বদলে দিতে থাকেন। বেত পুড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তির প্রথা বন্ধ করেন। লাইব্রেরি খুলে দেন। ধমক না দিয়ে সবার সঙ্গে হেসে কথা বলেন। তিনি মনে করেন, শিক্ষার পদ্ধতিতে গলদ আছে। শিক্ষক একা কথা বলবে আর ছাত্ররা খালি শুনবে তা হয় না। এ কারণেই ছাত্ররা মনোযোগ দিতে পারে না।
ড. রাইসার আগ্রহে একটা অন্ধ মেয়ে (আঁখি) প্রতিবন্ধী স্কুলে না পড়ে সাধারণ স্কুলে পড়তে আসে। কিন্তু শিক্ষকের দুর্ব্যবহারে আঁখি যখন চলে যেতে চায়, তখন তিতু আর তার বন্ধুরা এগিয়ে আসে। তারা আঁখিকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে চায়। আঁখি জানায়, সে অন্ধ হিসেবে বিবেচিত হতে চায় না। সে আর দশজনের মতো একজন হতে চায়। বন্ধুরা এই চ্যালেঞ্জ নেয়। তারা আঁখিকে অন্ধ হিসেবে কোনও করুণা করে না। স্রেফ বন্ধু মনে করে। কিন্তু সাধারণ হতে চাইলেই তো আর হওয়া যায় না। নানান প্রতিকূলতার মুখোমুখি পড়তে হয় আখিঁ ও তার বন্ধুদের। এরকমই গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’।