ছেলেকে নিয়ে যা বললেন অপু
প্রকাশিত : ১৬:৫৪, ১৮ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৫৮, ১৮ নভেম্বর ২০১৭
‘ছেলেকে বাসায় একা রেখে কলকাতায় গেছেন অপু বিশ্বাস’- এই খবর শুনে রেগে গেছেন শাকিব খান। তাই ছেলেকে নিজের কাছে আনতে অপুর বাসায় গিয়ে শাকিব দেখেন ঘর তালাবন্ধ। আর মিডিয়া পাড়ায় এটি এখন গরম সংবাদ। সংবাদটি গণমাধ্যমেও প্রকাশ পায় মুহুর্তের মধ্যে। ছেলেকে তালাবন্দী করে কলকাতা গেলেন অপু- এই শিরোনামে প্রকাশ পেয়েছে সংবাদটি। বিষয়টি দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর তা নজরে আসে অপু বিশ্বাসেরও।
বিষয়টি নিয়ে অপু কলকাতা থেকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কলকাতায় আসার প্রয়োজন হলে আগে শাকিবের সঙ্গেই আসতাম। এবার একা আসতে হলো। শাকিব দেশে আছে জানতামই না। শুনেছিলাম সে ২০ তারিখের পর ফিরবে। আমি এমনই স্ত্রী যার স্বামী কখন দেশে আসে কখন দেশ ছাড়ে কোনো খবরই পাই না। আমি ছেলের মা, আমার চেয়ে বেশি দরদি কেউ নেই। মায়ের চেয়ে সন্তানের জন্য দুশ্চিন্তা আর কে করে? সবাই মুখে মুখে মায়াকান্না করে বেড়াচ্ছেন কেন আমি ছেলেকে রেখে একা আসলাম। কিন্তু উত্তরটা কেউ দিচ্ছেন না যে কেন আসলাম? আমার কী কেউ নেই? স্বামী আছে, শ্বশুরবাড়ি আছে। কেন আমাকে একা আসতে হলো? আমার সঙ্গে কেউ থাকলে তো ছেলেকে সঙ্গে আনা যেতই। কাউকে যখন পেলাম না বাধ্য হয়েই ছেলেকে রেখে আসলাম। আর ঠান্ডাজনিত অসুখে জয়ও কয়দিন ধরে ভুগেছে। তাই একা একা জার্নির ভেতর ওকে এনে কষ্ট দিতে চাইনি। জয়কে আমি একা রেখে আসিনি। বাসায় তিনজন কাজের মেয়ে আছে। আমার বোন শেলী আপুকে রেখে এসেছি। বাসার ম্যানেজার, দারোয়ান ও আমার গাড়ির ড্রাইভারকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে এসছি যাতে কোনো সমস্যা না হয়। একটু পর পর আমি বাসায় কল দিচ্ছি, খোঁজ নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, শাকিবের দায়িত্ব সচেতনতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। সে যদি সবসময় এমন দায়িত্ব সচেতন হতো আমার কোনো দু:খই থাকতো না। সব স্ত্রীরাই চায় তাদের স্বামীরা দায়িত্ববান হবে।’
বাসায় তালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাসা খোলাই ছিলো। একটা চাবি আমার সঙ্গে এনেছি। আরেকটা চাবি রেখে এসছি আমার বাসার নিচতলায়, আমার বোনের কাছে। সন্ধ্যার পর তালা মেরে রাখতে বলে এসেছি। আমি ছাড়া আর কাউকে যেন চাবি না দেয়া হয় সেটাও বলে এসেছি। শাকিব বাসায় যাবেন আমি জানতাম না। কারণ ও যায় না। তবুও বাসায় গিয়ে যখন এমন পরিস্থিতি দেখেছেন তখন কেন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি শাকিব। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেই পারতেন। শাকিব তার সন্তানের বাবা, সন্তানকে দেখার অধিকার তার আছে। এতে দোষের কিছু নেই।’
এসএ/