সোহেল চৌধুরী আছেন ভক্তদের হৃদয়ে
প্রকাশিত : ১৩:১১, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৪৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। সুদর্শন চেহারার মিষ্টি হাসির যুবকটি খুবই অল্প সময়ে চলচ্চিত্রে এসে মন জয় করে নিয়েছিলেন দর্শকের। ক্যারিয়ারে যখন বসন্তের সুবাতাস বইছে ঠিক তখনই ১৯ বছর আগে আজকের এইদিনে (১৮ ডিসেম্বর) সিনেমার মতোই সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তিনি। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দর্শকপ্রিয় এই চিত্রনায়কের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে একুশে টিভি অনলাইন।
সেই থেকে কেটে গেছে অনেকটা সময়। হয়েছে অনেক উত্থান পতনের গল্প। কিন্তু সোহেল চৌধুরীর খুনের বিচার পায়নি তার পরিবার। সেই কষ্ট চাপা নিয়েই প্রতি বছর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করা হয়। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তার ভক্তরাও।
সোহলে চৌধুরীর জন্ম ১৯৬৩ সালে ঢাকার বনানীতে। তার বাবার নাম তারেক আহমেদ চৌধুরী। মা নূরজাহান বেগম। উচ্চবিত্তদের পরিবারের সন্তান এই নায়ক আধুনিক শিক্ষায় নিজেকে আলোকিত করেছিলেন। চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে আশি ও নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে। ১৯৮৪ সালের নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। সেই বছরেই নির্মাতা এফ কবির চৌধুরী পরিচালিত ‘পর্বত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়।
তিনি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী ভালোবেসে সেইসময়ের হার্টথ্রব চিত্রনায়িকা দিতিকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুইটি সন্তান আছে। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় দিতি-সোহেল দম্পতির প্রথম সন্তান লামিয়া চৌধুরীর। ১৯৮৯ সালে এ দম্পতির ছেলে দীপ্ত চৌধুরীর জন্ম হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে উচ্চবিত্তদের আনন্দ ক্লাব ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এসএ/