ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সালমান-ক্যাটরিনার জমজমাট রোম্যান্স

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:১৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

অপেক্ষা শেষ। দীর্ঘ ৪ বছর পর পর্দায় ফিরল টাইগার। ২০১২’র কবির খান পরিচালিত ‘এক থা টাইগার’র সিক্যুয়াল ২০১৭’র ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’। একসঙ্গে টানটান উত্তেজনা, রোম্যান্স থেকে শুরু করে এন্টারটেইনমেন্টের সব মশলাই রয়েছে এই সিনেমাতে।

সিনেমার প্রেক্ষাপট

‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’র সিনেমার প্রেক্ষাপট বাস্তবের ঘটনা অবলম্বনেই তৈরি। ২০১৪ সালে ইরাকে ৪০ জন নার্সের অপহরণের ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন ভারতীয়। সেই অপহৃত নার্সদের উদ্ধার করতে গিয়ে কী ধরনের প্রতিকূলতার শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় এজেন্ট সেটাকে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে সিনেমার গল্প।

সিনেমার গল্প

‘এক থা টাইগার’ এ দেখা গেছে ভারতীয় গোয়ান্দা সংস্থা ‘র’র এজেন্ট টাইগার (সালমান) ও পাকিস্তানি আইএসআই এজেন্ট জোয়া (ক্যাটরিনা) কিউবাতে গিয়ে দিব্যি সংসার করছে। সিক্যুয়াল ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’র গল্প শুরু হয়েছে সেখান থেকেই। সুখে সংসার করতে থাকা টাইগার ও জোয়ার জীবন হঠাৎই বদলে দেয় ইরাকের একটি ঘটনা। ইরাকের জঙ্গি সংগঠন বেশকিছু নার্সকে অপহরণ করেছে বলে খবর মেলে। তাঁদেরকে উদ্ধার করতেই ‘র’র এর প্রধান শেনয় (গিরীশ কারনাদ) আবারও টাইগারকে এই মিশনে যুক্ত করার কথা ভাবেন। ওই হাসপাতালেই আটকে ছিলেন পাকিস্তানি বেশকিছু নার্স। তাঁদেরকে উদ্ধারের জন্য জোয়াকে পাঠানোর কথা ভাবা হয়।

কিন্তু টাইগারকে কি খুঁজে পাবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’র এর প্রধান শেনয়? টাইগার (সালমান) কি এই মিশনের জন্য তাঁর পাকিস্তানি স্ত্রী জোয়া ও তাঁর সন্তানকে ছেড়ে চলে আসবে? তাঁদের দু’জনের ভালোবাসার মধ্যে কী কী প্রতিকূলতা আসবে? কীভাবে জঙ্গিদের হাত থেকে উদ্ধার করা হবে ভারতীয় নার্সদের? এসব নিয়েই এগিয়ে যায় সিনেমার গল্প।

তবে গল্পের পরিণতি কী হবে তা না হয় নাই বললাম, এটা জানতে হলে দেখতে হবে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’।

বিশ্লেষণ

সিনেমার প্রথমার্ধ সুন্দরভাবে এগোলেও দ্বিতীয়ার্ধে গল্প একটু বেশিই টানা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। ৮ বছর আগে টাইগার ও জোয়াকে মৃত ঘোষণা করা হলেও হঠাৎ কীভাবে ‘র’-এবং ‘আইএসআই’- তাঁদেরকে খুঁজে পেল এই বিষয়টি একটু নাটকীয় লেগেছে।

তবে হ্যাঁ পুরো সিনেমায় সালমান, ক্যাটরিনাকে বেশ সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়েছেন পরিচালক আলি আব্বাস জাফর। এই সিনেমায় সলমনের থেকেও বেশি অ্যাকশনে দেখা গেছে ক্যাটকে, যা অবশ্যই দর্শকদের মন জয় করবে। পাশাপাশি সালমান, ক্যাটরিনা এবং জঙ্গি বেশে অভিনেতা আবু উসমানের অভিনয়ও বেশ প্রশংসনীয় হয়েছে।

তবে চিত্রনাট্যে কোথাও একটা কমতি যেন রয়েই গেছে। তবে টিপিক্যাল এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই সিনেমাটি যাঁরা দেখবেন তাঁদের অবশ্য সিনেমাটি মন্দ লাগবে না।

আর হ্যাঁ, সিনেমায় বেশকিছু রোম্যান্টিক গান দর্শকদের মন কাড়বে তা বলাই বাহুল্য।

সূত্র : জি নিউজ

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি