ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শাকিব-অপুর সংসার রক্ষার উদ্যোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:২৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের ডিভোর্স নিয়ে পানি কম ঘোলা হচ্ছে না। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পারিবারিক আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। কিন্তু শুনানিতে হাজির হননি শাকিব খান। ফলে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আবার দেওয়া হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি।

সংসারে ফিরতে চাই উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস বলেন, “শাকিবের জন্য আমি সব করতে রজি। আমি অভিনয় ছাড়তেও রাজি। তার জন্য জাত ধর্ম সবই ছেড়েছি কিন্তু আমি তাকে ছাড়তে পারবো না।” 

চলচ্চিত্রের সিনিয়র ব্যাক্তিরা শাকিব-অপুর সংসার রক্ষায় তৎপরতা শুরু করেছেন। তারা চেষ্টা করছেন সংসার জোড়া লাগানোর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, “শাকিবকে বুঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সে যেন বিয়েটা না ভাঙে। আর অপুকেও বুঝানো হয়েছে সে যেন শাকিবের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে চলে। শাকিব না চাইলে সিনেমা করা ছেড়ে দেয়।”

শাকিব খানের নির্দেশ ছিল অপু যেন সিনেমায় কাজ না করে। সংসার সন্তান নিয়েই ব্যস্ত থাকে। সে আলোকে এখন চুক্তিবদ্ধ হওয়া চলচ্চিত্র ‘কাঙাল’ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অপু বিশ্বাস। এছাড়া আরো যেসব চলচ্চিত্র নিয়ে তার কাজ করার কথা ছিল সেগুলোও তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন।

শাকিব অপুর সংসারের এই জটিলতা ছাড়াতে ইতিমধ্যে অনেকেই কথা বলেছেন। চেষ্টা করছেন তারা ভাঙনের দিকে না যায়।

এ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘তাদের উচিৎ ভেবে চিন্তে কাজ করা। এমন কোনো কিছু তাদের করা উচিৎ নয় যেটি চলচ্চিত্রের জন্য ক্ষতির কারণ হয়। তারা এই ইন্ডাস্ট্রির সম্পদ। এটা তাদের মনে রাখা উচিৎ।”

এর আগে চিত্রনায়ক ওমর সানীও তাদের উদ্যেশ্য করে বলেন, ‘শাকিব তুমি এসব কি করছ? এত সুন্দর একটি সংসার এভাবে নষ্ট করে দিচ্ছ? তুমি কি চাও জয় তার বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হোক? অপু স্বামীর সোহাগ থেকে বঞ্চিত হোক? আর অপুকে বলছি স্বামী সংসারে মন দাও। ক্যারিয়ারের চেয়ে সংসার অনেক বড়। তাই  আমি বলবো তোমরা সব ভুলে এক হয়ে যাও।’

তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে শাকিবের কোনো মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি একেবারেই চুপ হয়ে আছেন। আর এ দিকে অপু বিশ্বাস চেষ্টা করছেন যেভাবেই হোক তিনি শাকিবের সংসারে ফিরবেন।

এ প্রসঙ্গে শাকিবের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে এখন এটার অমিতো কিছু করতে পারবো না। তাছাড়া শাকিব খান দেশের বাহিরে শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তিনিই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

 শাকিব-অপুর সংসার রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে ডিএনসিসি কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন বলেন, তাদের সংসার টিকিয়ে রাখতে হলে উভয়কে সম্মত হতে হবে। প্রথম বৈঠকে শুধু এক পক্ষ এসেছেন। তাই আমরা পরবর্তী তারিখ দিয়েছি ১২ ফেব্রুয়ারি। আমরা অপেক্ষা করছি দু’পক্ষই যেন আসে। আমরা তাদের আরেকটি নোটিশ করছি। এরপর যদি না আসে তাহলে তৃতীয় আরেকটি নোটিশ দেব। তারপরও যদি না আসে ৯০ দিন পার হয়ে গেলে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।   

এসি/টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি