প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসা সহায়তায় নাটক ‘কঞ্জুস’
প্রকাশিত : ০৯:৩৮, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৪৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বেশকিছু দিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত। তাঁর দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এসেছে লোক নাট্যদল (বনানী)। প্রিয়ভাষিণীকে সহায়তা করতে নিজেদের জনপ্রিয় নাটক ‘কঞ্জুস’-এর বিশেষ মঞ্চায়নের উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।
৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে প্রদর্শিত হবে নাটকটি।
লোক নাট্যদল জানায়, ‘ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন এবং গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাঁর চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য দেশের বিশিষ্টজনদের উদ্যোগের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আমরা এই বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি।’
সব নাট্যদর্শক, নাট্যকর্মী, শিল্পী, শুভানুধ্যায়ীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
ফরাসি নাট্যকার মলিয়েরের কমেডি ‘দ্য মাইজার’ অবলম্বনে ‘কঞ্জুস’-এর রূপান্তর করেছেন তারিক আনাম খান। নির্দেশনায় কামরুন নূর চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, খুলনায় নানার বাড়িতে। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মাহবুবুল হক এবং মায়ের নাম রওশন হাসিনা। বাবা-মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণী সবার বড়। তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ভাস্কর। তাঁর শিল্পকর্ম বেশ জনপ্রিয়। মূলত ঘর সাজানো এবং নিজেকে সাজানোর জন্য দামী জিনিসের পরিবর্তে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে কিভাবে সাজানো যায় তার সন্ধান করা থেকেই তাঁর শিল্পচর্চার শুরু। নিম্ন আয়ের মানুষেরা কিভাবে অল্প খরচে সুন্দরভাবে ঘর সাজাতে পারে সে বিষয়গুলো তিনি দেখিয়েছেন। ঝরা পাতা, মরা ডাল, গাছের গুড়ি দিয়েই মূলত তিনি গৃহের নানা শিল্প কর্মে তৈরি করেন।
১৯৬৩ সালে প্রথম বিয়ে করেন। পরে ১৯৭২ সালে প্রিয়ভাষিণী দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী আহসান উল্লাহ আহমেদ ছিলেন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা। তাঁর ছয় সন্তান। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। তিনি খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা গার্লস স্কুল থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন।
১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। মাঝে কিছুদিন স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি ইউএনডিপি, ইউএনআইসিইএফ, এফএও, কানাডিয়ান দূতাবাস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। শেষ বয়সে এসে নানা শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন এবং তা অবিরামভাবে অব্যাহত রাখেন।
এসএ/