ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বাবার স্মৃতিকথা সংকলন করতে চাই: দেবযানী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২১:৪৫, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

হুমায়ুন ফরীদি বাংলাদেশের অভিনয়জগতের একজন উজ্জল নক্ষত্র। আজ তার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালে বসন্তের এই দিনে (১৩ ফেব্রুয়ারি) পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন তিনি। মৃত্যুর আগে ফুসফুসের জটিলতাসহ নানা সমস্যার কারণে অসুস্থ ছিলেন খ্যাতিমান এই অভিনেতা।

মঞ্চ, টেলিভিশন আর চলচ্চিত্রে ছিল তার অবাধ যাতায়াত। এই শিল্পী সম্পর্কে তার অগ্রজ শিল্পী আল মনসুর বলেছিলেন, ‘এ মাটিতে জন্ম নেওয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ চির উজ্জ্বল অভিনেতা হলো হুমায়ুন ফরীদি।’ অসম্ভব জনপ্রিয় এই অভিনেতা মাত্র ৬০ বছর বয়সেই চলে যান না ফেরার দেশে।

হুমায়ুন ফরীদির একমাত্র মেয়ে সারারাত ইসলাম দেবযানী। প্রথম ঘরের সন্তান দেবযানি। বাবা সম্পর্কে কখনো কথা বলতে তাকে শোনা যায়নি। এবার তিনি বাবাকে নিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য তার স্মৃতিকথা তৈরির পরিকল্পনা করছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাবাকে নিয়ে একটি স্মৃতিকথার সংকলনের কথা ভাবছি। এই মাপের একজন শিল্পীকে তার পরবর্তী প্রজন্ম এবং তারও পরবর্তী প্রজন্ম যেন জানতে পারে, সে জন্যই এ ভাবনা। যারা বাবাকে চেনেন, তারাই লিখবেন। অভিনয় জীবনের পাশাপাশি তাতে উঠে আসবে বাবার শৈশব-কৈশোর, জীবনযাপনের নানা প্রসঙ্গের কথা। আমার এই ভাবনাকে মূর্ত করে তোলার জন্য এ বছর থেকেই কাজ শুরু করব।’ 

১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যচর্চার পুরোধা ব্যক্তিত্ব নাট্যকার সেলিম আল দীনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নাট্য উত্সব আয়োজনেরও প্রধান সংগঠক ছিলেন ফরীদি।

এ বছর মরণোত্তর একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন হুমায়ুন ফরীদি। দেবযানী এ জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বললেন, ‘একজন সত্যিকারের শিল্পীকে পদক দেওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিও রয়েছে আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা। হুমায়ুন ফরীদি তার মতো হয়ে উঠতে পেরেছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোছায়ায় বেড়ে উঠেছিলেন বলে।’

ফরীদি অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে, ‘ভণ্ড’ ‘শ্যামল ছায়া’, ‘জয়যাত্রা’, ‘আহা!’, ‘হুলিয়া’, ‘একাত্তরের যিশু’, ‘দহন’, ‘সন্ত্রাস’, ‘ব্যাচেলর’ প্রভৃতি। উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নীল নকশার সন্ধানে’ (১৯৮২), ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’ (১৯৮২), ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’ (১৯৮৩), ‘ভবের হাট’ (২০০৭), ‘শৃঙ্খল’ (২০১০) প্রভৃতি।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ নাটকে ফরীদির অনবদ্য অভিনয়ের কল্যাণে ‘কান কাটা রমজান’ চরিত্রটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। 

রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন হুমায়ুন ফরীদি। 

 

এসি/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি