আল্লাহ যেন আমাকে উঠিয়ে নেন : অপু
প্রকাশিত : ০৯:০২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
অল্প অল্প মুখ খুলছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। তবে তাদের বিয়ে ও সন্তান সবই যে না চাওয়ার মধ্যে জন্ম হয়েছে তা তার কথাতেই ফুটে উঠছে। ডিভোর্সের পর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অপুর বক্তব্য প্রকাশ পাচ্ছে। যদিও মিডিয়ার সামনে এখনও নিজের মনের সব কথা প্রকাশ করেননি তিনি। তবে অপুর বক্তব্য কোড করে অনেকেই সংবাদ প্রকাশ করছেন। আর সেখানে শাকিব খানকে অপরাধি হিসেবে জানান দিচ্ছেন এই নায়িকা।
বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শাকিব খান-অপু বিশ্বাস জুটির জটিলতা মিডিয়ার কাছে প্রকাশ পেতে থাকে। অপু ও শাকিব বোঝাতে চাইছেন তাদের এই গোপনিয়তা শুধুই ক্যারিয়ারের জন্য। যদি তাই হয় তবে এখন তো আর গোপন কথা গোপন নেই, তবে এখনও কেনো এতো দুরত্ব ও বিচ্ছেদ। এই প্রশ্ন সাধারণ ভক্তদের।
অপুর দেওয়া বর্তমান বক্তব্য প্রমাণ করে তাদের এই গোপন বিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং সন্তান জন্ম নেওয়াটা পুরোই অনিচ্ছাকৃত। কারণ শাকিব কখনও চাননি অপুর গর্ভে তার সন্তান জন্মনিক। এমনকি ভুল করে যে জয় অপুর গর্ভে এসেছে তাকেও পৃথিবীর আলো দেখাতে চাননি শাকিব।
যা হোক সেই বিতর্ক প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই থাকুক। এখন তাদের চূড়ান্ত পরিণতি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। বিচ্ছেদ নিয়ে শাকিব-অপু এখনও পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন। এবার অপু বিশ্বাস এ ভাঙনের জন্য সন্তানের জন্মকেই দায়ী করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার আর উপায় ছিল না। আমি অনেকভাবে শাকিবকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বাচ্চার কথা বলেছি। শাকিব কোনো কিছুই মানতে রাজি ছিল না। তখন আমার নিজের কোনো স্বীকৃতি ছিল না। আমার সন্তানের স্বীকৃতি ছিল না। একজন মা হিসেবে এর চেয়ে বেদনার আর কী হতে পারে। আমার কাছে উপায় ছিল না বলেই আমি গণমাধ্যমে এসে মুখ খুলেছি। এটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কোনো সুযোগ নেই।’
কিন্তু ভুলে করে হোক আর অনাকাঙ্ক্ষিত হোক বাচ্চাতো এখন বড় হচ্ছে। বাবা-মায়ের এই বিচ্ছেদ সন্তানকে কোন পথে নেবে এটাও ভাবনার বিষয়। বিশেষ করে অপু-শাকিব ভক্তদের কাছে এই প্রশ্নই এখন মূখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এ বিষয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘অনেক কিছুর স্বপ্ন এখনো দেখিনি। তবে এরকম ইচ্ছে আছে আল্লাহ যেন আমাকে সেই তৌফিক দান করেন, আমি যেন ওকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারি। যে মানুষটা আমার শ্বশুর-শাশুড়ি শাকিবকে করতে পারেননি। আমি যদি আমার বাচ্চাকে সে রকম মানুষ না করতে পারি আল্লাহ যেন আমাকে ওই দিনই পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নেন। আমি একটি কমিটমেন্ট করেছিলাম, তা রাখতে পারিনি, আল্লাহ যেন আমাকে উঠিয়ে নেন। না হলে আমি নিজেই আত্মহত্যা করব। কারণ, আমি আমার ছেলেকে মানুষ করতে পারিনি।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তাঁরা দুজন সমানতালে সিনেমার শুটিং অব্যাহত রাখেন। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল বিকেলে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। সেদিন অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের স্ত্রী, আমাদের ছেলে আছে।’
বিয়ের খবর জনসমক্ষে আসার পর দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। শুধু ছেলে আব্রামের কারণে মাঝেমধ্যে দেখা হলেও কথা হয়নি দুজনের।
এরপর গত বছর ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসের ঢাকার বাসা ও বগুড়ার ঠিকানায় রেজিস্ট্রি করা হলফনামা আকারে তালাকনামা পাঠানো হয়। যার প্রেক্ষিতে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে সব সম্পর্ক।