চারুকলায় চলছে জাতীয় গম্ভীরা উৎসব
প্রকাশিত : ২১:০০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ০০:১২, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় চলছে জাতীয় গম্ভীরা উৎসব। দ্বিতীয়বারের মতো এর আয়োজন করে জাতীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থা দিয়াড়।
শুক্রবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে আজ শনিবার রাত পর্যন্ত। যেখানে গম্ভীরা পরিবেশনা করবে ১০টি দল।
দলগুলো হলো চাঁপাই গম্ভীরা, লোক গম্ভীরা, সঙ্গীতা চাঁপাই গম্ভীরা দল, নবাব গম্ভীরা দল, রসকস গম্ভীরা দল, প্রয়াস ফোক থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চাঁপাই নকশী গম্ভীরা দল, ভোলাহাট, আদি গম্ভীরা দল ও সূর্য দিগন্ত গম্ভীরা দল।
গম্ভীরাকে দেশের সংগীত জগতের সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সংগীতের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার করতে হবে। আঞ্চলিক এই লোক সংগীতকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির বলেন, ‘গম্ভীরা অন্য সব সংগীতের মতো শুধু শোনার জন্য রচিত হয় না, এই সংগীত রচিত হয় সাধারণ মানুষের জন্য এবং এর একটা অন্তর্নিহিত অর্থ আছে। এই সংগীত সমালোচনার মাধ্যমে সমাজে বসবাসরত মানুষের অভাব ও অভিযোগগুলো মোড়লদের সামনে তুলে ধরে।’
দিয়াড়ের সভাপতি মুখলেসুর রহমান মুকুল বলেন, ‘গম্ভীরা অন্যসব সংগীতের চেয়ে একটু ভিন্নধর্মী। কারণ এই সংগীতের একটা নিজস্ব গতি আছে, আছে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য। এই সংগীতের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ধর্মের, রাষ্ট্রের, রাজনীতি ও সমাজের অবক্ষয়গুলো সংগীতের কথার মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠীর সামনে তুলে ধরা।’
গম্ভীরা লোকসংগীতের অন্যতম একটি ধারা। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পশ্চিমবঙ্গের মালদহ অঞ্চলে গম্ভীরার প্রচলন রয়েছে। গম্ভীরা দলবদ্ধভাবে গাওয়া হয়। এটি বর্ণনামূলক গান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা অঞ্চলের গম্ভীরার মুখ্য চরিত্রে নানা-নাতি খুব জনপ্রিয়। ধারণা করা হয়, গম্ভীরা উৎসবের প্রচলন হয়েছে শিবপূজাকে কেন্দ্র করে। শিবের এক নাম `গম্ভীর`, তাই শিবের উৎসব গম্ভীরা উৎসব এবং শিবের বন্দনা গীতিই হলো গম্ভীরা গান। গম্ভীরা উৎসবের সঙ্গে এ সঙ্গীতের ব্যবহারের পেছনে জাতিগত ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে।
এসি/