সিরিয়ায় যুদ্ধ ও শিশু হত্যার প্রতিবাদে অপু
প্রকাশিত : ১১:৩০, ৪ মার্চ ২০১৮
‘হে আল্লাহ আমার ছেলেকে তুমি নিয়ে যাও, জান্নাতে অন্তত সে খাবার পাবে’। আহত ছেলের নিদারুণ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এক মা স্রষ্টার কাছে এমন প্রার্থনায় করেছেন। শুধু ওই মা-ই নয়, সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতায় হাজার হাজার শিশুর মা তাঁর সন্তানের মৃত্যু কামনা করে চলছেন। সন্তানের নিদারুণ যন্ত্রণা সইবার ক্ষমতা কোন বাবা-মায়ের হয় না। আর সেই সন্তানের কফিন বয়ে বেড়ানোর যন্ত্রণা তো আরও ভয়ানক। তবে সেই ভয়নাক কাজটি করতে একের পর এক রাসায়নিক অস্ত্রের হামলায় পৃথিবীতেই যেন দোযক নেমে এসেছে। মানবতার এই চরম অবক্ষয় কোন সচেতন মানুষই দেখতে পারেন না। তাই যে যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করছেন। বসে নেই অপু বিশ্বাসও।
নিজের সন্তানকে কোলে নিয়ে ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন এই নায়িকা। যার সঙ্গে লিখেছেন একটি ছোট্ট নোট। বাংলা ও ইংরেজি দু’ভাবেই অপু লিখেছেন-
‘যুদ্ধের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমরা ছোট বেলা থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা নিয়ে যুদ্ধ করেছি, পরে ক্যারিয়ার নিয়ে যুদ্ধে চালিয়েছি। সংসার থেকে শুরু করে কম বেশি সকল ক্ষেত্রেই যুদ্ধ করেছি। যেমনটি আমিও। চলচ্চিত্র, সংসার সহ জীবনের অনেকটি সময় যুদ্ধ করতে হয়েছে আমাকে এবং সেই যুদ্ধকে মেনেও নিয়েছি। কিন্তু সিরিয়ায় যে যুদ্ধ চলছে, তা আমি কেনো পৃথিবীর কেউ মেনে নিবে না এবং নিচ্ছেও না আশাকরি। সিরিয়ার যুদ্ধে যেভাবে শিশুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে এবং তাদের হত্যা করা হচ্ছে তা আমার হৃদয়কে প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত করে চলেছে। কারন আমিও একজন মা। পৃথিবীর প্রতিটি শিশুই আমার কাছে সন্তানের মতো। তাই আমি কামনা করি দ্রুতই এই যুদ্ধ, শিশু হত্যা ও তাদের উপর অত্যাচার বন্ধ হোক। শিশুদের জন্য পৃথিবীর প্রতিটি স্থানই হোক নিরাপদ।
We are all familiar with the war. We fought from school to college, university, and later in the war with the carrier. We have fought in less than all the parts of the world. As i am I have had to fight a lot of lives, including film, family, and have accepted that war. But the war in Syria is why I am not accepting anybody in the world or taking it. The way children are being tortured and killing them in Syria`s war, my heart is constantly wounding. Because I`m a mother. Every child in the world is like a child to me. So I wish that the war, the killing of children and the oppression of them will be stopped soon. Every place on earth should be a safe place for children.’
এসএ/