সিনেমা কমিয়ে দিবেন শাকিব খান
প্রকাশিত : ১৩:০৪, ২১ মার্চ ২০১৮
বাংলাদেশের নম্বার ওয়ান হিরো শাকিব খান। ঢালিউডে তার বিকল্প এখন তৈরি হয়নি। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই সুপারস্টার নিজের দেশের গন্ডি পেরিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কলতায়। টালিউডের বাঘা বাঘা হিরোদের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছেন তিনি। বসে নেই সে দেশের গণমাধ্যমও। কলকাতার পত্রপত্রিকা শাকিবকে নিয়ে প্রকাশ করছে বিশেষ সংবাদ। সম্প্রতি আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাকিব খান নিজের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন। যেখানে সন্তান জয় ও সাবেক স্ত্রী অপুকে নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
ইটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য সেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হলো :
প্র : কলকাতা কেমন লাগছে?
উ : আমার তো কখনও আলাদা মনেই হয় না। মহিষাদলে যখন শুট করতে গেলাম, ওখানেও তো অনেক রাজবাড়ি আছে, তখনই আমার সঙ্গের লোকেদের বলেছিলাম যে, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কোনও পার্থক্য ধরা পড়ে না আমার চোখে।
প্র : দুই দেশ তো একই ছিল ...
উ : সবই তো এক। ভাষা এক, কৃষ্টি-কালচার এক। ওখানেও পহেলা বৈশাখ হয়, এখানেও হয় (হাসি)।
প্র : আপনাদের ওখানে তো পয়লা বৈশাখ খুব বড় করে হয়। এ বছর আপনার কী প্ল্যান?
উ : ঢাকায় থাকব না তো। ‘ভাইজান’-এর শুটিংয়ে লন্ডনে যাব। গত দু’-তিন বছর ধরেই এ রকম চলছে। এই সময়টায় আউটডোরগুলো পড়ছে। তবে পহেলা বৈশাখের সৌন্দর্য দেখতে হলে বাংলাদেশেই যাওয়া উচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার স্টুডেন্টরা আলপনা সাজায় রাস্তায় রাস্তায়। আনবিলিভেবল!
(‘ভাইজান’-এর পোস্টার শুটের মাঝেই ছেলে আব্রাম খান জয়কে নিয়ে এসেছিলেন শাকিবের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাস। বছর দুইয়ের সুপারকিউট আব্রামকে নিয়ে মেতে উঠলেন শ্রাবন্তী, পায়েল, হিমাংশু ধানুকা-সহ সেটের সকলেই!)
প্র : ছেলে তো খুব ছোট। আপনি এত আউটডোরে থাকেন, ও আপনাকে মিস করে না?
উ : করে তো বটেই। আমিও ভীষণ মিস করি। কিন্তু কী করব। কাজ তো করতেই হবে।
প্র : আপনাদের দেখে কিন্তু বিচ্ছেদের কোনও তিক্ততা নজরে এল না।
উ : সম্পর্ক থাক আর না থাক, অপু বিশ্বাস আব্রামের মা আর আমি ওর বাবা। ছেলের জন্য হলেও আমাদের দেখা হয়েই যায়। আসলে ওরা শিলিগুড়ি যাবে, একটা মানত ছিল, সেই কারণে। যাওয়ার পথে আমিই বললাম দেখা করে যেতে। অনেক দিন দেখিনি ছেলেকে, তাই।
প্র : বাংলার সুপারস্টার অর্থাৎ প্রসেনজিৎ, দেব, জিৎদের মাঝেও ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছেন আপনি। কোথাও একটা টেক্কা দেওয়ার মনোভাব রয়েছে কি?
উ : আমি এ ভাবে দেখি না। কো-প্রোডাকশনে কাজ করার ব্যাপারটা কিন্তু আজকের নয়। মিঠুন দা যখন ইয়ং সুপারস্টার ছিলেন, তখন ‘অন্যায় অবিচার’ করেছিলেন কো-প্রোডাকশনে। বাংলাদেশের সঙ্গে তো মুম্বইয়েরও যৌথ প্রযোজনা হয়েছে। গ্লোবালাইজেশনের যুগে আন্তর্জাতিক জায়গায় নিজেদের নিয়ে যেতে চাইলে বড় বাজেটের দরকার হয়। একা করতে গেলে অনেকটা ঝুঁকির ব্যাপার থাকে। দুই দেশ এক হলে তখন মার্কেটটা বড় হয়। ওভারসিজ মার্কেটটাও ধরা যায়।
প্র : দেব বা জিতের সঙ্গে আপনার দেখা হয় বা কথা হয়?
উ : হ্যাঁ, হ্যাঁ! যখন ওদেশের আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলাম, তখন একবার ওঁরা সবাই গিয়েছিলেন। বুম্বাদা...জিৎ... তখন ভাল করে আলাপ হল। তার পরেও দু’বার দেখা হয়েছে।
প্র : পয়লা বৈশাখে এখানে ‘কবীর’ আসছে। ক’দিন পরেই ‘দৃষ্টিকোণ’। ‘চালবাজ’ কতটা চাপে থাকবে?
উ : ভারতে তো অনেক ভাষায় অনেক রকম সিনেমা হয়। অন্য ছবি রিলিজ করতেই পারে। দর্শকের যেটা ভালো লাগবে, সেটাই তো তাঁরা দেখবেন।
প্র : কমার্শিয়াল সিনেমার কাজই করছেন। অন্য ধারার সিনেমা নিয়ে কিছু ভাবছেন না?
উ : অবশ্যই! এখন থেকে ঠিক করেছি এত সিনেমা করব না। হাতে গোনা ভালো প্রজেক্টই করব।
এসএ/