ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

‘ইত্যাদি’ এবার তিতাস নদীর তীরে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৭, ২৫ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৩০, ২৫ মার্চ ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং পর্যটন সমৃদ্ধ আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে গিয়ে ধারণ করা হচ্ছে ‘ইত্যাদি’। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে শিক্ষা, সাহিত্য, সংগীতে সমৃদ্ধ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

গত ১৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে তিতাসপাড়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের এক নম্বর কূপের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জিনিস দিয়ে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের আয়োজন। শিকড় সন্ধানী ইত্যাদিতে সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচারবিমুখ, জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের খুঁজে এনে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। যাতে তাদের কাজ দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হন। এছাড়াও থাকে দেশি-বিদেশি অচেনা-অজানা স্থানকে নিয়ে তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এবারের পর্বে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন।

এছাড়া রয়েছে এক ব্যতিক্রমী পরিশ্রমী অটোরিকশাচালক দুলাল চন্দ্র দাসের ওপর একটি মানবিক প্রতিবেদন। বরিশালের বাবুগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইসাহাক শরীফের ওপর রয়েছে একটি শিক্ষণীয় প্রতিবেদন।

রয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নেদারল্যান্ডসের নাগরিক আনোয়ারা বেগমের নিজের শিকড়ের সন্ধানের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। বিদেশি প্রতিবেদনে রয়েছে পবিত্র মদিনা শরীফের একটি ব্যতিক্রমী রাস্তা। এবারের ইত্যাদিতে মূল গান রয়েছে একটি। দেশাত্মবোধক এ গানটি গেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী। গানটি লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন রাজেশ। গানটির সঙ্গে কোরিওগ্রাফি করেছেন স্থানীয় শিল্পীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন এ জেলারই কৃতী শিল্পী অভিনয় তারকা জাকিয়া বারী মম, সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় একদল নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। দর্শক পর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে হাজার হাজার দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী শিল্পী অভিনেতা সাজু খাদেম অভিনয় করেন। যা ছিল বেশ উপভোগ্য।

নিয়মিত পর্বসহ এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ন নাট্যাংশ। পার্বণ গবেষণা, বিপথে গিয়ে বিপদে ফেলা, হাঁটার কাঁটা, যন্ত্রের যন্ত্রণা, হাসপাতালের হাঁসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ। বরাবরের মতো এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন অনুষ্ঠানের নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম।

এবারের ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন- রহমত আলী, সোলায়মান খোকা, কে এস ফিরোজ, মহিউদ্দিন বাহার, ডা. এজাজুল ইসলাম, শবনম পারভীন, আবদুল কাদের, আফজাল শরীফ, জিল্লুর রহমান, কাজী আসাদ, আমিন আজাদ, সুভাশিষ ভৌমিক, কামাল বায়েজিদ, শেলী আহসান, লাভলী ইয়াসমিন, তারেক স্বপন, জামিল, সজল, নিপু, সাজ্জাদ সাজু, নজরুল ইসলাম, বিলু বড়ুয়া, মনজুর আলম, ফরিদ, হাশিম মাসুদসহ আরো অনেকে। পরিচালকের সহকারী হিসেবে ছিলেন যথারীতি রানা ও মামুন। গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির আগামী পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে ৩০ মার্চ রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ‘ইত্যাদি’ স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কস্‌মেটিকস্‌ লিমিটেড।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি