পুরস্কার নিয়ে ফারুকের চরম ক্ষোভ
প্রকাশিত : ০৯:১৬, ৬ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৮:২৮, ৬ এপ্রিল ২০১৮
চিত্রনায়ক ফারুক ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চিত্রনায়িকা ববিতার সঙ্গে যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা দেওয়ার ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ পুরস্কার আদৌ গ্রহণ করবেন কিনা তা নিয়েও পুনরায় ভাববেন বলে জানান ‘মিয়াভাই’ খ্যাত এ অভিনেতা।
এ বিষয়ে ফারুক বলেন, ‘দু’জনকে ভাগ করে আজীবন সম্মাননা দেওয়াটা ঠিক নয়। এটা যাচ্ছেতাই মনে হয়। আমার দুঃখ লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, পুরস্কারে হাত দেব না। আমি হয়তো বুঝি কম। আমি অত বোদ্ধা নয়। যারা দিয়েছেন তারা কতটুকু বোদ্ধা আমি জানি না। যে জুরি বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি। পৃথিবীর ইতিহাসে এই ধরনের অ্যাওয়ার্ড কেউ নেয় না। কাউকে অপমান করার অধিকার জুরিবোর্ডের নেই।’
এ অভিনেতা দাবি করেন, এর আগে ১৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেও ‘রাজনৈতিক কারণে’ চূড়ান্ত তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসনামলে ১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে সেরা অভিনেতার পুরস্কারের জন্য প্রথমে তার নাম ঘোষণা করা হলেও পরে আর তাকে পুরস্কারটি দেওয়ায় হয়নি বলে জানান তিনি।
সেরা অভিনেতার বদলে সেবার তার হাতে উঠেছিল শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার।
ফারুক এ বিষয়ে বলেন, ‘তখন উপর থেকে বলা হয়েছিল, উনি আমাদের লোক নন। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক বলে পার্শ্ব চরিত্রের পুরস্কার দেওয়া হলো। তখন পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অনুরোধ করেছিল, আমাকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য। কিন্তু দেয়নি। পরে একেক জন ১৭-১৮টা করে অ্যাওয়ার্ড পায়, আমার ঘরে কোনো অ্যাওয়ার্ড নাই।’
জনগনের ভালোবাসাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন উল্লেখ করে ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এগুলোর (পুরস্কারের) তোয়াক্কাও করি না।’
এসএ/