কখনও বিচারক হতে চাইনি : মৌ
প্রকাশিত : ১১:১৩, ২২ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১২:৪৩, ২২ এপ্রিল ২০১৮
তিনি মডেল। তিনি অভিনেত্রী। তিনি নৃত্যশিল্পীও। বলছি সাদিয়া ইসলাম মৌ এর কথা। যিনি একজন সু অভিনেত্রী। যার মডেলিং ও স্টাইল সেই বহুবছর ধরেই অনেকের কাছে আইডল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। মৌ একজন গুনি নৃত্যশিল্পী। তার নৃত্যের ঝংকার দেশে-বিদেশে বেশ প্রশংসিত। তিনি যখন মঞ্চে ওঠেন রাঙিয়ে দেন সবার অন্তর ও চোখ।
ক্যারিয়ারের এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এবার তিনি বিচারক। ‘দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে রিয়ালিটি শো ‘লাক্স-সুপারস্টার’। প্রতিযোগিতার প্রধান তিন বিচারকদের একজন সাদিয়া ইসলাম মৌ। যদিও মৌ একজন নৃত্য শিক্ষক, কারণ তার নিজের নাচের সংগঠন ও দল রয়েছে। যেখানে নাচের প্রশিক্ষণ নেয় অনেক শিক্ষার্থী। তাদেরকে তিনি নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তবে এবার তিনি সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারক। এ আয়োজনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিচারকের আসনে বসেছেন মৌ।
বিষয়টি নিয়ে মৌ বলেন, ‘ভালো লাগছে। আগে কখনও কোনো প্রতিযোগিতার বিচারক হইনি বা হতে চাইনি। সারাক্ষণ মনের ভেতর একটা ভয় তাড়া করত। বিচারক হতে হলে অনেক সময় অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। এসব প্রতিযোগিতায় যারা অংশ নেয় তারা অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে আসে। যেহেতু এটি একটি প্রতিযোগিতা, সে কারণে এখানে একজনই প্রথম হবে। ফলে প্রতিটি রাউন্ডে একেক করে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ যেতে থাকে। তখন তারা কিছুটা হলেও মনে কষ্ট পায়। আমরা সবাইকেই বলি মনে আশা রাখতে। এখানে হয়নি তো কী হয়েছে? অন্যখানে আরও ভালো করবে। তখন তার উদ্যম হয়তো নষ্ট হয়ে যায়। কারণ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাচ্চাটা তার অভিনয় বা নাচের মূল্যায়নের সময় আমাকে হয়তো অন্য রকম চিন্তা করেছিল। কিন্তু এসে দেখল, আমি অন্যভাবে তার সঙ্গে কথা বলছি। এ জন্যই কখনও কোনো প্রতিযোগিতায় বিচারক হতে চাইনি।’
তবে নিজের ইচ্ছা বা আগ্রহ না থাকলেও শুরু থেকেই লাক্স কর্তৃপক্ষ এবারের প্রতিযোগিতার বিচারক হওয়া নিয়ে মৌকে বেশ কয়েকবার প্রস্তাব দেয় এবং তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। যখন তিনি শুনলেন তাহসান খান ও আরিফিন শুভ আছেন, তখন তারও মনে সাহস আসলো। তাছাড়া এটাও ভাবলেন যে বিচারকার্যেরও অভিজ্ঞতা হবে। তখনই তিনি রাজি হয়ে গেলেন। কাজ করতে গিয়ে এখন বেশ ভালো লাগছে তার।
এদিকে বর্তমানে যারা টিকে আছে, তারা প্রত্যেকেই বেশ ভালো করছে। সবাই অনেক চেষ্টা করছে আরও ভালো করার। সবার জন্যই বিচারকদের শুভ কামনা রয়েছে।
মৌ এমন একজন মডেল যার ভক্ত ও অনুসারীর সংখ্যা অনেক। দেশের অসংখ্য মডেলের অনুপ্রেরণাও তিনি। কারণ তিনি একজন সুপার মডেল। সবাই তার মতো মডেল হতে চায়।
বিষয়টি নিয়ে মৌ তার অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘ভালো লাগছে এই ভেবে যে, আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আমাকে চেনে বা জানে। আমার মতো হতে চায়। এটা আমার জন্যও ভালো লাগার। আর সুপার মডেলে আমি বিশ্বাস করি না। আমি একজন মডেল ও শিল্পী। অনেক ছোট থেকে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করছি। শুরু থেকে যে ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করেছি, এখনও তাই করছি। একজন নির্মাতা আমাকে দিয়ে যখন যেভাবে কাজ করাতে চেয়েছেন, ঠিক সেভাবে কাজের চেষ্টা করেছি। তবে এটাও ঠিক, আমি দেশের সেরা নির্মাতা ও ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে কাজ করেছি। সে কারণেই হয়তো আমার কাজগুলো দর্শকদের মনে লেগে আছে। ভালোবাসা দিয়ে কাজ করলে জয় হবেই।’
এসএ/