ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মিশা দ্বন্দ্বে মুখ খুললেন ওমর সানি

‘তোর কর্মকাণ্ড কতটুকু গ্রহণযোগ্য’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৩, ৭ মে ২০১৮

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী ও খলনায়ক মিশা সওদাগরের বন্ধুত্ব অনেক দিনের। দুজন সিনেমায় দুই ধরণের চরিত্র প্লে করলেও তাদের বন্ধুত্ব ছিল বেশ মজবুত। বন্ধুত্বের গভীরতা এতোটাই ছিল যে, প্রিয় বন্ধু মিশা সওদাগরের জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিতে হঠাৎ করেই মিশার বাসায় যেতে দেখা গেছে সানীকে। ওই সময় তারা একসঙ্গে আড্ডাও দেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক এখন অতীত। বর্তমানে তাদের সম্পর্ক চরম দ্বন্দ্বে রুপ নিয়েছে। কেউই কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। একে অন্যকে তীর্যক আক্রমন করে বক্তব্য দিয়ে বহুবার সংবাদের শিরোনামও হয়েছেন। এবার সেই দ্বন্দ্বে আবারও ঘি ঢাললেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।

সম্প্রতি একটি প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের আলাপচারিতায় ওমর সানী-মিশা সওদাগরের প্রসঙ্গ আসতেই তিনি মুখ খোলেন দুজনের দ্বন্দ্বের কারণ বিষয়ে।

ওমর সানী বলেন, ‘আমি খুব পরিস্কার কথা বলি। দেখুন ইন্ডাস্ট্রিতে কিন্তু পরিটিক্স থাকবেই। ক্যরিয়ার নিয়ে পলিটিক্স, তারপর অভিনয় নিয়ে পলিটিক্স, কে কোন সিনেমায় ভালো করবে- মন্দ করবে এবং তার সাপোর্টেট কিছু মানুষ টেকনিশিয়ান থাকবে। এটা কিন্তু যুগের পর যুগ, রাজ্জাক আঙ্কেল থেকে শুরু করে, আলমগীর সাহেব, ফারুক সাহেব, রোজিনা ম্যাডাম থেকে শুরু করে মৌসুমী, শাবনূর, আমি, সালমান আমরা সবাই করেছি। কিন্তু এখন কোনটা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেখুন মিশার সঙ্গে আমার কিন্তু ব্যক্তিগত কোন গন্ডোগোল নেই। আমরা বেশ ভালো বন্ধু এবং আমার সাঙ্গে তার প্রায়ই কথা হয়। মিশার সঙ্গে আমার কিন্তু কোন কোন্দলের বিষয় নেই। এটা ভুল হবে। কারণ ও কোনও দিনই আমার কাউন্টার আর্টিস্ট না। সে কোন সময়ই একজন জনপ্রিয় হিরো ছিল না। তার সঙ্গে আমার প্রতিযোগিতার কোন বিষয়ই ছিল না। কিন্তু নির্বাচনের সময় সে কিন্তু অনকেবার বলেছে যে- আমি নির্বাচন করব না। সে একবার অমিত হাসানের সঙ্গে হেরে যাওয়ার পর বলেছে, আমি আর নির্বাচন করব না। হঠাৎ করে আমি নির্বাচনে দাঁড়াবার পরে সেও দাঁড়ালো। ওকে ফাইন- তুমি তোমার মত করে দাঁড়াতেই পারো। এতে কোন দ্বিমত পোষন করছি না।’

সানী আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু আগেও বলেছি যদি ফারুক ভাই, উজ্জল ভাই, আলমগীর ভাই, রাজ্জাক আঙ্কেল, কাঞ্চন ভাই- ওনারা যদি দাঁড়ায় আমি ওমর সানী এক সেকেন্ডের জন্যও দাঁড়াবো না। কিন্তু তারা কখনও-ই দাঁড়ায় নি। একটা সময় গিয়ে কিছু বাজে ইগো প্রবলেম ক্রিয়েট করলো মিশা। তার জন্য আমি নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হই। আমি প্রমাণ ছাড়া কথা বলি না। আমার কাছে এমনও কিছু প্রমাণ আছে যে- নির্বাচন নিয়ে প্রচন্ড রকম জালিয়াতি হয়ে।’

এ সময় ওমর সানী চিত্রনায়ক ফারুককে গুরু সম্বোধন করে বলেন, ‘সে বলেছে যে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু আমি বলেছিলাম- ‘নো’। এটা সুন্দর নির্বাচন হয়নি। এই নির্বাচন নিয়ে আসলে কথা বলতে লজ্জা করে। সুশান্ত পাস, সুশান্ত ফেল। নানাশাহ্ ফেল, আবার পাশ। আবার আমার তেরটি ভোট বাড়লো। নির্বাচন কমিশনার আকবর সাহেক কি বলছে তা নিজেও বুঝতে পারছে না। আমাদের জার্নিটা কোথায় তাও আমরা জানিনা। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার কাছে প্রমাণ আছে। একটা সময় সেই প্রমাণ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার সহধর্মিনী মৌসুমী বললো যে না সানি, এটাকে ভাইরাল করো না। আমার কাছে এমন একটি প্রমাণ আছে যে প্রমাণটি দিলে মানুষ জানতো, জাতি জানতো যে এই নির্বাচনটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়েছে বা হয়নি। আমি দেইনি শুধু মৌসুমীর কথার কারণে। সে বলেছে বাদ দাও, আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও। আসলে এগুলো বাদ দিলে মিশার সঙ্গে আমার কিন্তু কোন দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু নির্বাচনের পরে ইদানিং কিছু কর্মকাণ্ডের জন্য, মিশা মৌসুমীকে নিয়ে কিছু কথা বললো, ‘বয়জোষ্ঠ মানুষ’। আমি তখন বললাম যে, মিশা, তুমি যে বয়জোষ্ঠর কথা বলছো- তুমি কি ইয়াং? তোমার ওয়াইফ কি ইয়াং? তোমার ওয়াইফ ওতো মৌসুমীর বয়সের চেয়ে বড়। বয়সে বড় ছোট, এসব সিলি কথা বলার তো কোন প্রশ্নই ওঠে না। কোন এসব বলবা। মৌসুমী তোমার ফ্রেন্ড, আমিও তোমার ফ্রেন্ড। একজন ফ্রেন্ডকে ছোট করলেই কি সব হয়ে গেলো। আমার তো এখনও প্রশ্ন হয়- আসলেই কি শিল্পী সমিতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিশা একটিভ কিনা! আমি সন্দিহান। কারণ প্রচণ্ড রকম একটিভ দেখা যায় জায়েদ খানকে। জায়েদ খানই সব কিছু করে।’

এ সময় মিশার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন ‍তুলে ওমর সানী বলেন, ‘আমি শিল্পী সমিতির একজন মেম্বার হিসেবে জানতে চাই- তোর একটিভিটিসটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য। মাঝে দেখলাম যাদের যাদের শিল্পী সমিতি চিঠি দিয়েছে তাতে শুধু জায়েদ খানের সিগনেচার। কিন্তু সিগনেচারতো থাকবে মিশারও।’

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি