ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কান মাতালেন পেনোলোপি ক্রুজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪০, ১০ মে ২০১৮

পেনেলোপি ক্রুজ। গাঢ় বাদামি চোখের নারী। হালকা শারীরিক গড়নের সঙ্গে ভুবনভোলানো হাসি তার। সব মিলিয়ে অসামান্য রূপবতী তিনি। ২০০৮ সালে উডি অ্যালেনের ‘ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা’প্রাণবন্ত চিত্রশিল্পী মারিয়া এলেনা চরিত্রে দারুণ অভিনয়ের সুবাদে অস্কারে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। কোনও স্প্যানিশ অভিনেত্রীর অস্কার জয়ের ঘটনা ছিল সেটাই প্রথম। এছাড়া ২০০১ সালের কথা। ‘ভ্যানিলা স্কাই’ সিনেমা দেখে পেনেলোপির প্রেমে পড়েননি, এমন চলচ্চিত্রানুরাগী খুঁজে পাওয়া যাবে না। তার প্রতি বিশ্ববাসীর মুগ্ধতা সেই থেকে শুরু।

গত বুধবার তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। ৪৪ বছর বয়সী এই তারকা এখনও অসামান্য সুন্দর। পালে দো ফেস্টিভ্যাল ভবনের তৃতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে পেনেলোপি ক্রুজ এসেছিলেন আসগর ফারহাদির ‘এভরিবডি নৌস’ সিনেমার জন্য। এবারের উদ্বোধন হয়েছে এর প্রদর্শনীর মাধ্যমে। প্রতিযোগিতা বিভাগেও আছে এটি। স্বর্ণপাম জেতার লড়াইয়ে এই সিনেমা যে সামনের সারিতে থাকবে তা বোঝা গেছে মঙ্গলবার প্রদর্শনী শেষে। তিনি ও তার স্বামী হাভিয়ার বারদেমকে আমন্ত্রিত ২ হাজার ৩০০ অতিথি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান।

সিনেমাটির গল্পে দেখা গেছে, বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে লরা তার সন্তানকে নিয়ে বুয়েন্স আয়ার্স থেকে নিজের গ্রামে বেড়াতে যান। কিন্তু অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা তৈরি করে জটিল সমস্যা। যা সামনে নিয়ে আসে পরিবারটি গোপন অতীত। লরা চরিত্রে পেনেলোপির অভিনয় ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। সিনেমাটিতে তার স্বামী হাভিয়ার আছেন পাকো। আর লরার স্বামীর ভূমিকায় দেখা গেছে আর্জেন্টাইন অভিনেতা রিকার্দো দারিনকে।

উল্লেখ্য, পেনেলোপি নব্বই দশকের শেষ ভাগে উগান্ডা ও ভারতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মাদার তেরেসার সঙ্গে এক সপ্তাহ কাজ করেছিলেন। তখন ‘দ্য হাই-লো কান্ট্রি’ সিনেমা থেকে পাওয়া সম্মানি মাদার তেরেসার হাতে তুলে দেন এই অভিনেত্রী।

পেনেলোপির বিখ্যাত সিনেমার তালিকায় আরও আছে ‘ওপেন ইউর আইস’ (১৯৯৭), ‘দ্য হাই-লো কান্ট্রি’ (১৯৯৯), ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অল দ্য প্রিটি হর্সেস’, ‘ওম্যান অন টপ’ ও ‘দ্য গার্ল অব ইউর ড্রিমস’, ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ক্যাপ্টেন করেলি’স ম্যান্ডোলিন’ ও ‘ব্লো’।

ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ঘরানার সিনেমাতে কাজ করেছেন পেনেলোপি। যেমন— কমেডি সিনেমা ‘ওয়েকিং আপ ইন রেনো’ (২০০২), থ্রিলার ধাঁচের ‘গথিকা’ (২০০৩), বড়দিন বিষয়ক সিনেমা ‘নোয়েল’ (২০০৪) ও অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ‘সাহারা’ (২০০৫)। ‘ভলভার’ (২০০৬) ও ‘নাইন’ (২০০৯) সিনেমাতে তার অভিনয় ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। দুটি সিনেমার জন্যই অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোবে মনোনয়ন পান তিনি।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি