ববিতার দিনরাত্রী
প্রকাশিত : ১১:৪৮, ২৪ মে ২০১৮
এক সময়ের পর্দা কাঁপানো বরেণ্য অভিনেত্রী ববিতা। কলকাতায় ‘১৭তম টেলি-সিনে অ্যাওয়ার্ড’ আয়োজনে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন তিনি। আগামী ২ জুন বিকেলে কলকাতার নজরুল মঞ্চে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ও ভারতে চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য কলকাতা থেকে আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন তিনি। এক সময়ের পর্দা কাঁপানো এই চিত্রনায়িকা বর্তমানে তিনি অভিনয় থেকে দূরে সরে আছেন। প্রকৃতি, ফুল, পাখি ও সন্তান নিয়ে তার যত ব্যস্ততা।
দেশের বাইরের এই প্রাপ্তির অনুভূতি নিয়ে নায়িকা বলেন, ‘অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় একশ` সম্মাননা পেয়েছি। তবে এটা আমার কাছে অন্যরকম সম্মানের। বরেণ্য নির্মাতা সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘অশনি সংকেত’ সিনেমাটি মুক্তির ৪৫ বছর পূর্তি হচ্ছে এবার। এ উপলক্ষেই আজীবন সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। সিনেমাতে আমি আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলাম। ওই সময়ের বিভিন্ন ঘটনা খুব মনে পড়ছে। এই সিনেমাটি আমাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি এনে দিয়েছিল। এই সম্মাননার মধ্য দিয়ে আমার অভিনয় জীবন পরিপূর্ণ হয়েছে। এটা শুধু আমার একার নয়, সারা বাংলাদেশের। ক্যারিয়ারে চলার পথে যারা আমাকে ভালোবাসা ও উৎসাহ দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
অভিনয়ের শুরু থেকে গল্প, চরিত্রকেই প্রাধান্য দিয়েছেন ববিতা। তিনি পছন্দ করতেন সেই গল্প ও চরিত্র যেগুলো সমাজ ও দেশের উপকারে আসে। যাচাই-বাছাই করেই অভিনয় করেছেন সব সময়। তাইতো তার অভিনিত প্রতিটি সিনেমাই দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি প্রয়োজনে তিনি বিনা পারিশ্রমিকেও কাজ করেছেন বলে জানান এই অভিনেত্রী। যদিও বেশ কয়েক বছর হলো চলচ্চিত্রে তাকে দেখা যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি প্রকৃতিপ্রেমী। বাসায় ময়না, টিয়া, লাভবার্ডসহ নানা জাতের পাখি আছে। এদের নিয়ে আমার সময়গুলো কেটে যায় মহা আনন্দে। জীবনের বেশিরভাগ সময় অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি- যে কারণে প্রকৃতি, পশুপাখির সংস্পর্শে আসা হয়নি। আমার একমাত্র ছেলে অনিক। তাকে ঘিরেই আমার পৃথিবী। মাঝে মধ্যে কানাডায় গিয়ে ওকে সঙ্গ দিই। আর দেশে এলে অনিককে মজার মজার রান্না করে খাওয়াই। এই তো আমার দিনরাত্রি।’
আবারও অভিনয়ে ফিরে আসা প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘আমি অভিনয়ের মানুষ। অভিনয়ের মধ্যে থাকতে পারলে ভালো লাগে। মনের মত গল্প ও ভালো নির্মাতার সিনেমা পাচ্ছি না বলে অভিনয় করছি না।
এসএ/