ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

অবশেষে প্রমাণিত হল অভিনেত্রী মীরা বিবাহিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৮, ২৯ মে ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ঘটনাটি ২০০৯ সালের। পাকিস্তানের অভিনেত্রী ইরতিজা রুবাব মীরাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেন ফৈসলাবাদের ব্যবসায়ী আতিক-উর-রহমান। শুধু তা-ই নয়, আদালতে মামলা দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, ২০০৭ সালে ছোট আকারে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। কিন্তু মীরা কোনো দিন প্রকাশ্যে তাঁকে স্বামী বলে স্বীকার করেননি। বিয়ের ব্যাপারটি গোপন রেখে মীরা সবার কাছে নিজেকে অবিবাহিত বলে প্রচার করেছেন। প্রমাণ হিসেবে আদালতে বিয়ের কাবিননামা দাখিল করেন আতিক-উর-রহমান। লাহোর হাইকোর্টে তিনি মীরার কুমারীত্ব পরীক্ষা করার জন্য আবেদন করেন। এই আবেদনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, মীরার সঙ্গে যেন তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ না হয়। আর মীরার বিদেশভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও আবেদন করেন।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মীরা বারবার বলেছেন, আতিক মানসিকভাবে অসুস্থ। তিনি প্রচার পাওয়ার জন্য এসব বলছেন। এক বন্ধুর মাধ্যমে আতিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। আতিক ইভেন্ট আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওই সময় আতিকের কয়েকটি ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন তিনি। আর আতিকের দেখানো বিয়ের কাবিননামাকে তিনি ‘জাল’ বলেছেন।

৯ বছর আগে এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্প্রতি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

রায়ে জানা যায়, অভিনেত্রী মীরা এখনও আইনগতভাবে আতিকুর রহমানের স্ত্রী। ফলে ক্যাপ্টেন নাভিদের সঙ্গে মীরার যে বিয়ে হয়েছে তা আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ল। ক্যাপ্টেন নাভিদের সঙ্গে একটি ‘বিতর্কিত ভিডিও ক্লিপ’ প্রকাশের পর তাকে নিজের স্বামী বলে পরিচয় দেন মীরা।
আতিকুর রহমান মীরার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন যে, মীরা তার সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ থাকাবস্থায়ই ক্যাপ্টেন নাভিদকে বিয়ে করেছেন, যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে মীরা তার বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, আতিকুর রহমান তাকে ভুয়া বিয়ের সার্টিফিকেট দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেছিল।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি