তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন শ্রাবন্তীর স্বামী
প্রকাশিত : ১৩:২৪, ২ জুলাই ২০১৮
গুঞ্জন নয়, ঘটনা সত্যি। বিচ্ছেদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর সংসারে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী স্বামী ইতোমধ্যে তালাকের নোটিশও পাঠিয়ে দিয়েছেন। নোটিশ এসেছে শ্রাবন্তীর বগুরার বাসার ঠিকানায়। শ্রাবন্তী এখন সেখানে আছেন।
এ বিষয়ে প্রিয়দর্শীনী শ্রাবন্তী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংসার ভেঙে যাচ্ছে, এই খবর সত্য।’ তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু হয়নি বলে জানান তিনি।
এক সময়ের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী অভিনয়ের পাঠ চুকিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী সন্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সংসার বাঁচাতে মিডিয়ার সহায়তা চান তিনি।
ফেসবুকের মাধ্যমে রোববার দিবাগত রাতে শ্রাবন্তী সবাইকে বলেন, ‘সত্য-মিথ্যা অনেক কথা আসবে; কিন্তু একজন মেয়ে, একজন মা আর একজন মানুষ হিসেবে একটাই চাওয়া, আমার সঙ্গে, আমার বাচ্চাদের সঙ্গে কোনো অন্যায় না হোক। আমার বাচ্চারা ব্রোকেন ফ্যামিলিতে বড় না হোক। এর ফলাফল কখনো ভালো হয় না। ভুল আমারও আছে। খোরশেদ আলমের (স্বামী) আছে। তাই বলে ডিভোর্স করে আলম বাচ্চাদের সঙ্গে, আমার সঙ্গে এমন অন্যায় করতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, শ্রাবন্তীর স্বামী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী খোরশেদ আলম গত ৭ মে শ্রাবন্তীকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন তাঁর বগুড়ার বাসার ঠিকানায়। শ্রাবন্তী ও খোরশেদ আলম ২০১০ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মিডিয়ায় কাজ বন্ধ করে দেন শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তী ও খোরশেদ আলমের সংসারে রাবিয়াহ ও আরিশা নামের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সন্তান দুজন এখন শ্রাবন্তীর কাছেই রয়েছে।
জানা গেছে, মালয়েশিয়া প্রবাসী এক নারীর সঙ্গে খোরশেদ আলমের যোগাযোগ হয়। শ্রাবন্তীর ভাষ্য তারপর থেকেই সংসারে অশান্তি তৈরি হয়। তবে খোরশেদ আলম সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বদতাল, আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম। তখন ওই মেয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। তার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।
ছাড়াছাড়ির বিষয়ে শ্রাবন্তীর ভাষ্য, আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবে। আমার হাজবেন্ডের সঙ্গে কথা বলবে, আমার সংসার ভাঙবে আর আমি তা মেনে নিয়ে চুপ করে থাকব। তাই না? খোরশেদ আলম আমার সবকিছু জেনেশুনে বিয়ে করেছিলেন। আর সাত বছর পর তা নিয়ে আমাকে দোষারোপ করে যাবে, তা তো মানা যায় না।’
সবকিছুর আগে আমি একজন মা। খোরশেদ আলম একজন বাবা। এটা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। বাচ্চাদের কোনো দোষ নেই। ওদের মাকেও প্রয়োজন। বাবাকেও প্রয়োজন। ওরা অলরেডি সিক। সো প্লিজ, দোয়া করবেন সবাই, আমার বাচ্চারা যেন সুস্থ থাকতে পারে। ওরা মা-বাবা দুজনকেই যেন কাছে পায়।
একজন শিক্ষক হয়ে আলম এমন অন্যায় যেন আমাদের কারো সঙ্গে না করে। সেই মহিলা নিজেও সংসার মনোযোগ দিয়ে করুক, আমাকে উল্টা হুমকি না দিক। উপরে আল্লাহ আছেন। সবকিছু সুন্দরভাবে হোক। আমার বাচ্চাদের সঙ্গে অন্যায় না হোক, এটাই আমার চাওয়া। আলম সুন্দরভাবে অন্যায় না করে, সৎভাবে সবকিছু থেকে সরে আসুক। নিজের ফ্যামিলিকে রক্ষা করুক একজন শিক্ষক হয়ে, এটাই চাই। সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, আপনারা কেউ ভুল সংবাদ করবেন না। আমি যা বলার এখানেই বলে দিলাম।
শ্রাবন্তী স্ট্যাটাসে আরও যোগ করেন, ‘পারলে আমার সংসারটাকে রক্ষা করতে হেল্প করুন। আমি এখনো জোর গলায় বলতে চাই, আমার সঙ্গে, আমার বাচ্চাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমার বাচ্চাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। এই জাতি যেন অন্যায়কে সাপোর্ট না করে।
আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য যাই, কারণ তিনিও তো একজন নারী। তিনি একজন মা। তিনি নিশ্চয়ই চাইবেন না, একজন মা ও তার বাচ্চাদের সঙ্গে অন্যায় হোক। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন প্লিজ।’
শ্রাবন্তীর কথায় বোঝা যাচ্ছে, বিচ্ছেদ চান না তিনি। এ বিষয়ে খোরশেদ আলমের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
/ এআর /