অবশেষে মুখ খুললেন ঈশিকা

কথায় আছে, ‘নো রিস্ক, নো গেইন’। ঝুঁকি না নিলে সাফল্য আসে না। অগত্যা, ‘মরণঝাঁপটাই দিল ঈশিকা’। ‘চৌকাঠ’ এই বাঙালি অভিনেত্রীর কাছে বড় ব্রেক, ঠিকই। কিন্তু, ঈশিকাকে শিরোনামে এনেছে অনুরাগ কাশ্যপের ‘সেক্রড গেমস’। নওয়াজউদ্দিনের সঙ্গে একটা দৃশ্যই ঈশিকার জীবনের ‘ভাইরাল মোমেন্ট’। অানুশকা শর্মার ‘পরি’-তেও ছিলেন ঈশিকা। তবে এডিট টেবিল থেকেই বাদ পড়ে যায় ঈশিকার দৃশ্যগুলো। ফলে নাম থাকে শুধুই ‘ক্রেডিট লাইনে’। তবে এবার পুরো ‘ক্রেডিট’-ই (কৃতিত্ব) ঈশিকার এবং অবশ্যই এটা হয়েছে তার অভিনয়ের জন্য।
যৌনদৃশ্যে একই ফ্রেমে নওয়াজ-ঈশিকা। আর পরিচালনায় অনুরাগ কাশ্যপ। যা দেখে বোঝা যায় যে- চরিত্র যত ‘ছোট`-ই হোক না কেন, অভিনেতার ক্ষমতা আছে তা বড় করে দেওয়ার। কয়েকটা সেকেন্ড, কয়েকটা সংলাপ, মুখের কিছু ভঙ্গি- এগুলোই পুরো বিষয়টি ঘুরিয়ে দিতে পারে। অনেকের মতোই এটা প্রমাণ করেছেন ঈশিকাও।
টালিউড থেকে বলিউড। সবাই এখন ঈশিকাকে এক ডাকে চেনেন। কেউ চেনেন নান্দীকারের পরিচয়ে, কেউ চেনেন থিয়েটার আর্টিস্ট হিসেবে, আবার কারও কারও কাছে ঈশিক সেই মেয়েটা, যাকে নিয়ে টিনেজাররা বলাবলি করে, ‘উ-ফ-ফ নওয়াজের সঙ্গে সেক্স সিনটা যা করল না’! বেশ কিছু পর্নগ্রাফি সাইটে ঈশিকার এই দৃশ্য এখন ট্রেন্ড করছে। রবিনা টন্ডন, বিদ্যা বালান, কঙ্গনা, রাধিকা আপ্তের যৌনদৃ্শ্যর ক্লিপিংসের সঙ্গে তালিকায় আছে ‘সেক্রড গেমস’-এর এই দৃশ্যও।
নিজের ক্যারিয়ারের সাফল্যের সঙ্গে বিড়ম্বনা নিয়ে ঈশিকা বলেন, ‘যে দৃশ্যটা আমি করেছি, সেটা আমি জানি। আমার কোনও সমস্যা নেই। আমার খারাপ লাগছে না, তবে না থাকলেই ভাল হত। আসলে মানুষ কীভাবে আমাকে দেখবে, আমার কাজ দেখবে, সেটা আমার হাতে নেই। আপনা আপনা নজরিয়া হ্যায়।’
নিন্দুকেরা যাই বলুক না কেনো সবমিলিয়ে বেশ খুশিই তিনি। যৌনদৃশ্যে অভিনয়ের বিষয়টা আগে থেকেই মা-কে জানিয়েছিলেন, ‘ম্যানেজ’-ও করে ফেলেছিলেন। তবে বাবার ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারছিলেন না।

ঈশিকা বলেন, ‘আমি কখনও চাইনি মা-বাবর সঙ্গে কোনও বিষয়েই আমার ভুল বোঝাবুঝি হোক। আমি চেয়েছি তাদের গর্বিত করার। আজ সেটাই পেরেছি। আমি ভীষণ খুশি।’
এসএ/