‘ধাক্কা খেয়ে বুঝেছিলাম,অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হবে’
প্রকাশিত : ২০:৩০, ১৪ আগস্ট ২০১৮
শ্রদ্ধা কাপুর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে যাচ্ছেন। স্বল্প সময়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে স্ত্রী ছবিটি। এ বিষয়ে কথা বলেন আনন্দবাজারের সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো-
প্র: এই প্রথম রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে কাজ করছেন। কেমন অভিজ্ঞতা?
উ: মনে হয়, আমাদের জুটি দর্শকের ভাল লাগবে। রাজকুমার ভীষণ ভাল অভিনেতা। যখন শুনেছিলাম আমার বিপরীতে রাজকুমার আছেন, খুব খুশি হয়েছিলাম। ছবিতে পঙ্কজ ত্রিপাঠীও আছেন। দু’জনই অসাধারণ। যে কারণে শুটিংয়ের সময়ে বেশ নার্ভাস লাগত। সতর্ক থাকতাম। স্ক্রিপ্ট শোনার সময়ে হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। সেটে খুব মজা হয়েছিল।
প্র:‘স্ত্রী’ হরর কমেডি। আপনি ভূতে ভয় পান?
উ: ভীষণ! হরর ফিল্ম দেখতে পারি না। দেখতে বসলেও চোখ বন্ধ করে থাকি! আমাকে অনেকে বলেছেন অনুষ্কা শর্মার ‘পরি’ দেখতে। কিন্তু আমি এত ভিতু যে, দেখে উঠতে পারিনি। মনে হয় না কোনও দিন ওই রকম ছবিতে অভিনয় করতে পারব। অন্য ছবির চেয়ে দর্শক এখানে আমাকে আলাদা রূপে পাবেন। পরিচালক অমর কৌশিকের সঙ্গে যখন স্ক্ৰিপ্ট রিড করছিলাম, উনি বলেছিলেন আমার চাল-চলনে যেন শান্ত ভাব থাকে। সংলাপ বলার সময়ে যেন তাড়াহুড়ো না করি। মধ্যপ্রদেশের চান্দেরিতে আমাদের শুটিং হয়েছিল। এই প্রথম কোনও হিন্দি ছবির শুটিং ওখানে হল। আমাদের পরে বরুণ-অনুষ্কা গিয়েছিলেন ‘সুই ধাগা’র শুটিং করতে।
প্র: শেষ দুটো ছবি ফ্লপ হওয়া সত্ত্বেও অনেক ভাল ভাল কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন। সাধারণত এমনটা হয় না!
উ: আমার প্রথম দুটো ছবিই খুব বাজে ভাবে ফ্লপ করে। তার পরে ‘আশিকি টু’ কেমন সফল হয়েছিল, সেটা আপনারা সকলেই জানেন। কেরিয়ারের শুরুতেই ব্যর্থতার ধাক্কা খেয়ে বুঝেছিলাম, ইন্ডাস্ট্রিতে আমাকে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হবে। আর ছোটবেলা থেকে একটাই স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে অভিনেত্রী হব। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। আর কী চাই? আমি তো নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে করি। নিজের প্রতি বিশ্বাস কোনও দিন হারাব না। মন দিয়ে পরিশ্রম করে যাব। ফ্যানদের ভালবাসা আমাকে সেই মনের জোর দেয়।
প্র: ‘স্ত্রী’র দেশি লুক তো বেশ ভাল ক্যারি করেছেন।
উ: হ্যাঁ। লুকটা এত ভাল লাগছে যে, ছবির প্রচারেও ওই রকম সাজগোজ করছি। শাড়ি আমার খুব প্রিয় পোশাক। সুযোগ পেলেই মরাঠিদের ট্র্যাডিশনাল শাড়ি পৈঠানি পড়ে থাকি। বিশেষ করে গণপতি উৎসবের সময়ে। এ ছাড়া নাকছাবি আমার খুব পছন্দের।
প্র: ‘সাহো’তে প্রভাসের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: প্রভাস ভীষণ অমায়িক। ও যে অত বড় সুপারস্টার, সেটা দেখে বোঝা যাবে না। ‘সাহো’ শুটিংয়ের সময়ে আমার উপর দিয়ে খুব বড় ফাঁড়া গিয়েছে সম্প্রতি। পরে দৃশ্যটার ভিডিও দেখেই হা়ড়হিম হয়ে যাচ্ছিল। চেষ্টা করেছিলাম, অ্যাকশন দৃশ্যে যাতে বডি ডাবল ব্যবহার করতে না হয়।
প্র: পরপর কাজ করে যাচ্ছেন। ‘মি টাইম’-এ কী করেন?
উ: যখন মুম্বইয়ে থাকি, তখন সকালের চা-টা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সকালে উঠে মা-বাবার সঙ্গে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। ওখান থেকেই সারাদিনের এনার্জি পেয়ে যাই। দিনটাও ভাল কাটে। কাজের জন্য খুব ভোরে উঠতে হলে মা-বাবাকে আর ডাকি না। তখন আমার চায়ের সঙ্গী শাইলো (শ্রদ্ধার পোষ্য)। সাইনা নেহওয়ালের বায়োপিকের জন্য ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস করছি। কাজের অজুহাতে নতুন কিছু শিখছি। বেশ উপভোগ করছি খেলাটা। জানতাম, বছরের এই সময়টায় খুব ব্যস্ত হয়ে যাব। তাই কিছু দিন আগেই মা-বাবা আর ভাইয়ার সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে এসেছি। আর ছুটিতে ফোনে একদম হাত দিই না। তখন শুধু পরিবারের সঙ্গে নির্ভেজাল সময় কাটাই।
প্র: পরিবারই আপনার কাছে তা হলে খুব স্পেশ্যাল?
উ: অবশ্যই। বাবা তো এখনও আমাকে বাচ্চা ভাবেন। এ বারের ছুটির পুরো দায়িত্ব আমি নিয়েছিলাম। সব খরচপাতি আমিই করেছি। কিন্তু তাতে কী? বাবা আমাকে এখনও সেই ছোট্ট মেয়ের মতো ট্রিট করেন। পারলে এখনও আমাকে পকেটমানি দেন। যদিও আমি কোনও মতে কাটানোর চেষ্টা করি (হাসি)!
এসি