ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

আমি কোনোদিনই ‘মসলা’ দিতে পারি না : কাজল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১২, ২১ আগস্ট ২০১৮

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল দেবগন। তিনি ‘কাজল’নামেই সমধিক পরিচিত। ‘মোহাব্বাতিন’, ‘কুচ কুচ হোতা হায়’ এর অসংখ্য দর্শকনন্দিত ছবি উপহার দিয়েছেন। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে তার স্বরব উপস্থিতি। কেন বর্তমানে পর্দায় তাঁর উপস্থিতি কম? এমন প্রশ্নের জবাবে কাজল বলেন, আমি কোনোদিনই মসলা দিতে পারি না।

কাজলের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৯২ সালে তার মায়ের সঙ্গে রোম্যান্টিক বেখুদি চলচ্চিত্রে। তার প্রথম বাণিজ্যিক সফল চলচ্চিত্র হল থ্রিলারধর্মী বাজীগর (১৯৯৩)। ১৯৯৭ সালে রহস্য চলচ্চিত্র গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ এবং ১৯৯৮ সালে মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার দুশমন তাকে খ্যাতি এনে দেয়।

কাজল বিয়ে করেছেন বলিউডের অ্যাকশন হিরো অজয় দেবগনকে। বর্তমানে তিনি দুই সন্তানের জননী। সম্প্রতি তিনি ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকারে উঠে আসে নানা অজানা তথ্য। সাক্ষাৎকারের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো-

প্র: এখন এত কম কাজ করেন। তাও আপনাকে নিয়ে আগ্রহ কম নেই!

উ: কম কাজ করি বলেই সবার আগ্রহ থাকে। ভালো স্ক্রিপ্ট আর ভালো গল্প খুব কম পাই। খারাপ চিত্রনাট্য বা চরিত্রের পেছনে নিজের পরিশ্রম দিতে চাই না।

প্র: ‘হেলিকপ্টার ইলা’র জন্য আপনি না অজয় কে আগে রাজি হলেন?

উ: চিত্রনাট্য শুনে আমি আর অজয় দু’জনেই কানেক্ট করতে পেরেছিলাম। আমি অভিনয় করতে রাজি হয়ে যাই। আর অজয় বলে, ও প্রোডিউস করবে। দাদার (প্রদীপ সরকার) সঙ্গে কাজ করার সুযোগ ছাড়তে চাইনি। ওর সঙ্গে আগে বিজ্ঞাপন করেছি। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতা। আসলে আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে কাজ করতে চাইছিলাম। কিন্তু ভালো কোনো বিষয় পাচ্ছিলাম না। আমি আর দাদা একে অপরের ভক্ত! যেদিন সেটে আমার কাজ থাকত না, সেদিনও দাদা আমাকে আসতে বলতেন। ছবির শেষে মনে হয়েছে, উনি আমার সেরাটা বার করে এনেছেন। বলেছি, পরের ছবিতে ওকে অ্যাসিস্ট করব (হাসি)!

প্র: বাংলা ছবি করতে চান?

উ: চাই। তবে ভাষার ব্যাপারে একদম কনফিডেন্ট নই। ভাষার ওপরে দখল না থাকলে সেই ছবি করা উচিত নয়। একটা অসাধারণ স্ক্রিপ্ট আর এক জন আউটস্ট্যান্ডিং ডিরেক্টরের সঙ্গে বাংলা ছবি করার অপেক্ষায় আছি।

প্র: জীবনের এই পর্যায়ে এসে নতুন জিনিস শিখতে ইচ্ছা করে?

উ: মা হিসেবে নিত্যনতুন জিনিস শিখছি। নাইসা আর যুগ আমাকে নতুন গান, নতুন নাচের স্টাইল, নতুন গ্যাজেট সম্পর্কে শেখাতেই থাকে। এক সময়ে খুব লিখতে ভালোবাসতাম। এখন আর সময় পাই না। লেখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সময় চাই। সেটা যেদিন পাব, সেদিন আবার লিখতে শুরু করব।

প্র: আত্মজীবনী লিখবেন?

উ: (জোরে জোরে মাথা নেড়ে) একদম না। কোনো দিন না। আমার পার্সোনালিটি খুব ইন্টারেস্টিং, কিন্তু আমি মানুষটা বোরিং। সবসময়ে ভাবি- মিডিয়া আমাকে কী প্রশ্ন করবে? আমিতো কোনো দিনই গসিপ বা মসলা দিতে পারি না।

প্র: তাহলে আপনার বায়োপিকও কোনোদিন হবে না?

উ: কোনো দিন নয়। তবে দিদা শোভনা সমর্থ আর মায়ের বায়োপিক দেখতে চাই। আর মিস্টার অমিতাভ বচ্চনের বায়োপিক নিয়েও আগ্রহ রয়েছে। সেখান থেকেই কত কিছু শেখা যাবে।

প্র: নিজেকে খুশি রাখেন কীভাবে? মিডলাইফ ক্রাইসিসে ভোগেন?

 

উ: (খুব জোরে হেসে) মিডলাইফে আমি পৌঁছেছি নাকি! নিজের সঙ্গে কথা বলি। এমনিতেই আমি কথা বলতে ভীষণ ভালবাসি। পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকি। ওয়ার্কআউট করি। বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাই। এক কথায় যেভাবে পারি, নিজেকে খুশি রাখার চেষ্টা করি।

সূত্র: আনন্দবাজার।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি