ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সঞ্জয় দত্তের জীবনে নয়া মোড় 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫৫, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সঞ্জয় দত্ত এক সময় ডুবে ছিলেন মদ-গাঁজা আর নেশায়। ড্রাগই ছিল তার জীবনের অংশ। এই স্বভাবই তার জীবনকে ঠেলে দেয় ভয়ানক খারাপ জগতের দিকে। চলতি বছর মুক্তি পায় সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক ‘সঞ্জু’৷ সেখানে তাঁর জীবনের এই ওঠা-পড়ার গল্পই বলেছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানী। দেখা গিয়েছে, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ছেড়ে নেশার জগতে ধীরে ধীরে বুঁদ হয়েছেন সঞ্জয় দত্ত তথা বলিউডের ‘বাবা’৷ ড্রাগের নেশা কাটাতে তাঁকে ভরতি করতে হয়েছে রিহ্যাবেও৷ তবে এখন সেই নেশার পথ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি৷ স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শান্তিতে সংসার করছেন৷ ফিরেছেন সিনেমার জগতেও৷ এবার সেই সঞ্জয় দত্তকেই ড্রাগ বিরোধী প্রচারের মুখ বা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করল উত্তরাখণ্ড সরকার৷  

শনিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে উত্তরাখণ্ডের ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত সরকার৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যক্তিগত জীবনে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন সঞ্জয়৷ ফলে তিনি যতটা এই নেশার ক্ষতিকর দিকটা তুলে ধরতে পারবেন তা অন্য কেউ পারবে না৷ তাই, তাঁকে এই প্রচারের মুখ করলে নেশাগ্রস্থরা যতটা প্রভাবিত হবেন তা অন্য কেউ করতে পারবে না৷ জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে বলিউড অভিনেতার সঙ্গে একপ্রস্ত কথাবার্তাও সেরে রেখেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী৷ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেও, টেলিফোনে কথা হয় তাঁদের৷ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানান হয়, এই প্রচারের মুখ হতে পেরে উত্তরাখণ্ড সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত৷

ড্রাগের নেশায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর ভারতের পাঁচটি রাজ্য৷ উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি ও রাজস্থান৷ এছাড়া তালিকায় রয়েছে রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ড৷ স্কুল, কলেজের পড়ুয়ারাই হোক বা বয়স্ক ব্যক্তি, ড্রাগের নেশা মরণ ব্যাধির আকার ধারণ করেছে এই রাজ্যগুলিতে৷ সম্প্রতি মুম্বইতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত৷ সেখানেই সঞ্জয় দত্তর সঙ্গে সাক্ষাত হয় তাঁর৷ এরপরই এগোয় দুজনের মধ্যে কথাবার্তা৷

এসি 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি