‘দেশকে ভালোবেসেছি বলেই আজকের অবস্থানে এসেছি’
প্রকাশিত : ১৮:২৩, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
(ফাইল ফটো)
অভিনেতা, লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত বলেছেন, স্বাধীনতার আগের কথা। তখন আমরা নাটক করতাম মাঠে-ময়দানে, শহীদ মিনারে, উন্মুক্ত স্থানে। সে-সময় আমাদের দেশে চলছিল পশ্চিম পাকিস্তানের অপশাসন। আমরা যারা নাটক করতাম, এই অপশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের ভাষা ছিল নাটক। তখন আমাদের দুটো আন্দোলন চলছিল। একটি রাজেনৈতিক আন্দোলন, অন্যটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন। আমরা সব সময় বিশ্বাস করতাম, আমাদের দেশ বাংলাদেশ। বাংলা আমাদের ভাষা। এই দেশ, এই ভাষা আমাদের মা। দেশকে ভালোবেসেছিলাম বলেই আজ আমরা এতদূর আসতে পেরেছি।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসিক মুক্ত আলোচনার ৭৯তম পর্বে একথাগুলো বলেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যব্যক্তিত্ব ও লেখক আবুল হায়াত। সংস্কৃতিচর্চা ও আমার জীবন বিষয়ে আলোচনায় তিনি জানান, দেশ মানুষ ও সংস্কৃতি নিয়ে তার ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতা। মুক্ত আলোচনার এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক ম হামিদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কোয়ান্টাম পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতি ধর্ম-বর্ণগোত্র নির্বিশেষে আমাদের দেশের অনেক মানুষকে আপনারা একসঙ্গে করতে পেরেছেন। এটি অনেক বড় একটি কাজ। এই অবদান আমাদের জাতির জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের একটি বাক্য আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনেও আমি অনুসরণ করি। তা হলো রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। এই বাক্যটি মনে করে এখন আমি আর সহজে রাগ করি না। কারণ আর সবার মতো আমিও কখনো হারতে চাই না।
কোয়ান্টাম সম্পর্কে আমি যতটুকু বুঝি, কোয়ান্টাম মানে শক্তির জাগরণ। ব্যক্তি মানুষের ভেতরের শক্তিকে আপনারা জাগিয়ে তুলতে পেরেছেন। তাই এখানে এসে এতো মানুষ সাফল্য পেয়েছে।
আবুল হায়াত তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল্লাহ আমাদের দেশের প্রতি অনেক মেহেরবান। তিনি আমাদের দেশে এত চমৎকার সব ফল দিয়েছেন। যে মৌসুমে যে ফল হয়, তাতে থাকে সেই রোগের ওষুধ। তরুণদের আমি মৌসুমী ফল খেতে অনুরোধ করব। আর যতই ভালো লাগুক, ফাস্টফুড আর চিনি থেকে দূরে থাকতে বলব। চিনি মানেই বিষ।
প্রধান অতিথিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ম হামিদ বলেন, আবুল হায়াত অভিনেতা হিসেবে যেমন সফল, ব্যক্তি মানুষ হিসেবেও তিনি সবার কাছে অনুসরণীয়। কোয়ান্টাম পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তাকে জানাই আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা।
এসএইচ/