ঢাকা, রবিবার   ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

সঙ্গীতশিল্পী পূজা

‘মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৭, ১ অক্টোবর ২০১৮

শুধু পূজা নামেই পরিচিত তরুণ প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা। ছোট থাকতেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চিরুনি নিয়ে গান গাইতেন তিনি। মায়ের অনুপ্রেরণায় গান শেখা। নতুন কুঁড়িতে পরপর তিনবার পুরস্কার পাওয়াসহ জাতীয় শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। কিন্তু শিল্পী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন ২০০৮ সালে একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় সেরা সাতজনের মধ্যে নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে।

২০১২ সালে তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘পূজা’ জনপ্রিয় হয় সাতজন নামী সংগীত পরিচালক নিয়ে কাজ করার পর। এরপর বেশ কয়েকটি অ্যালবামে নিজের কণ্ঠ দিয়ে শ্রোতা মাতিয়েছেন তিনি। বর্তমানে অ্যালবামের পাশাপাশি স্টেজ, টিভি শো, মিউজিক ভিডিও এবং প্লেব্যাকে তার যত ব্যস্ততা।

ইটিভির একুশের সকালে আজকের অতিথি ছিলেন- পূজা। তার সঙ্গে ইটিভির আলাপচারিতা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সাক্ষাৎকার।

ইটিভি : শুভ সকাল। কেমন আছেন?

পূজা : এইতো ভালো আছি। এখানে এসে আরও ভালো লাগছে।

ইটিভি : আপনি গানের মানুষ। গান দিয়েই পরিচয়। গান দিয়েই জনপ্রিয়তা। শুরুতেই বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাই। সম্প্রতি কি কি কাজ করলেন?

পূজা : কিছুদিন আগে দুটি গান প্রকাশ পেয়েছে। ‘একটাই তুমি’ শিরোনামে তাহসান ভাই এর সঙ্গে একটি গান রিলিজ হয়েছে। অন্যটি বেলাল ভাই এর সঙ্গে। ‘ও পরানের পাখি রে’ শিরোনামের একটি গান। মূলত ‘ও পরানের পাখি রে ...’ একটি পুরনো গানের কথা। অনুমোতি নিয়ে সেখানে থেকে দুটি লাইন এবং বাকি লাইনগুলো অন্য কথা দিয়ে নতুন করে গানটি গাওয়া হয়েছে।

ইটিভি : আপনি ইতিমধ্যে গানের মধ্য দিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তারপরও নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করার প্রচেষ্টা সব সময়ই সব শিল্পীর থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতি বা চেষ্টা কেমন চলছে?

পূজা : আমার কাছে মনে হয় আমি যেমনই থাকি না কেনো গানের চর্চাটা কখনও বাদ দেওয়া উচিত নয়। আমি যেহেতু একটা প্রতিযোগিতা থেকে এসেছি, সেটা আমাকে একটি ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। কিন্তু এরপর থেকেই আমার যুদ্ধটা শুরু হয়েছে।

ইটিভি : বিভিন্ন সময় টিভি শো অথবা দেশে-বিদেশে স্টেজ শো করা হয়। এমন কোন অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চাই যা আগে বলা হয়নি!

পূজা : একবার পূজার সময় খামারবাড়ি এলাকায় আমার একটা শো ছিল। ওই সময় শো শেষে একজন চানাচুর বিক্রেতা স্টেজে উঠে আসে। তার হাতে কিছু বাতাসা ও আইসক্রিম ছিল। সে কাছে এসে বললো- ‘আপু আমি আপনার গান এতো বেশি পছন্দ করি যে- আমার সামর্থ অনুযায়ি এগুলো দিলাম।’ বিষয়টা আমার এতো বেশি ভালো লেগেছে, যা আমার সব সময় মনে থাকে।

ইটিভি : বর্তমানে সঙ্গীত শিল্পীদের গানের প্রচার ও প্রসারের মাধ্যম হিসেবে ইউটিউব একটি বড় প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনিও গানের ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। বিষয়টাকে আপনি কেমন দেখেন?

পূজা : আমরা আসলে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিউজিক ভিডিওটি করছি। তবে আমি আগে বলি যে- গানটা ভালো হতে হবে। গানটি যদি ভালো না হয়, তবে যতই ভালো ভিডিও তৈরি করি না কেনো সেটা বেশি দিন টিকবে না। তাই গানের কথা, সুর এগুলোর উপর জোর দেওয়া উচিত।

ইটিভি : আপনাকে টিভি শো, স্টেজ শো, ফটোশুটসহ মিউজিক ভিডিওর মডেল হতে হচ্ছে। নিজের ঠিক রাখার একটা বিষয় তো থাকেই। যদিও আপনি কণ্ঠ শিল্পী তবে আউট লুকের বিষয়টি ভাবতেই হয়। এতো ব্যস্ততার মধ্যে নিজের যত্ন নিচ্ছেন কিভাবে?   

পূজা : (হেসে) সত্যি কথা বলতে আমি আসলে ওরকম যত্ন নিই না। তারপরও চেষ্টা করি একটু ঠিক থাকার। এক একবার এক এক রকম করে নিজেকে প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করি। নিজেকে ফিট রাখার জন্য নিয়ম করে কিছুই করা হয় না।  

ইটিভি : সব কিছুর পরেও পূজা একজন সঙ্গীত শিল্পী। নিয়মিত চর্চা কি করা হয়?  

পূজা : যখনই সময় পাই চর্চা করি। দিনে অন্তত একবার হলেও বসা হয়। তাছাড়া ফেরদৌস আরা ম্যাডামের কাছে তালিম নিচ্ছি।

ইটিভি : গানের জগতে আসতে বা প্রতিষ্ঠিত হতে পরিবারের কতটুকু সাপোর্ট পেয়েছেন? কে আপনাকে বেশি উৎসাহ দিয়েছে। বাবা, নাকি মা?

পূজা : ছোট বেলায় পুরোটাই মায়ের সহযোগীতা ছিল। মাও গান করতেন। বিয়ের পরে অবশ্য তিনি চালিয়ে যেতে পারেনি। মায়ের ইচ্ছে ছিল তার স্বপ্নটা মেয়ের মাধ্যমে পূরণ হোক। বাবা শুরুর দিকে এটা চাইতেন না। পরবর্তীতে যখন বাবা দেখলেন আমি গানকে বেশি পছন্দ করি, সময় দিচ্ছি, লেগে আছি, তখন থেকে তিনিও সাপোর্ট দিতে লাগলেন।

[অনুষ্ঠান : একুশের সকাল

উপস্থাপনা : এলিনা শাম্মী

অনলাইন সম্পাদনা ও শ্রুতি লিখন : সোহাগ আশরাফ]

পুরো অনুষ্ঠানটি দেখতে ভিডিও দেখুন :

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি