মহাত্মা গান্ধীর যে স্বপ্ন এখনও পূর্ণ হয়নি
প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ২ অক্টোবর ২০১৮
ভারত অনেক স্বপ্ন পূরণ করলেও একটি স্বপ্ন এখনও বাকি আছে বলে জানালেন বলিউডের অমিতাভ বচ্চন। বলিউড তারকা বলেন, ১৫০ বছর আগে এই দেশেই একজন মহামানব জন্ম নিয়েছিলেন, তিনি আমাদের সবার জন্য একটি লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছিলেন। তিনি বলতেন, যে কাজই করি না কেন আগে দেখতে হবে সেই কাজের মাধ্যমে এই দেশের দুর্বলতম ব্যক্তি উপকৃত হবেন কি-না। তিনি দেশকে একটি সূত্র দিয়েছেন এবং আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। ভারত অনেক স্বপ্নই পূরণ করেছে, কিন্তু একটি স্বপ্ন এখনও বাকি আছে যা হল পরিষ্কার ভারতের স্বপ্ন।
ভারতের মুম্বাইয়ের সান এন সৈকত থেকে এমনটাই জানালেন ‘এনডিটিভি-ডেটল বানেগা সৌচ ইন্ডিয়া ক্লিনেথন’ ক্যাম্পেনের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর।
বলিউড তারকা বলেন, গান্ধীজীর জন্য, স্যানিটেশন ছিল চরকার মতোই স্বাধীনতা সংগ্রামের অস্ত্র। ২০১৪ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিতে ‘পরিষ্কার ভারত’ প্রচারণা শুরু করেন এবং দেশবাসীকে দেশকে পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানান। তখন থেকে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। ২১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল খোলা শৌচ মুক্ত হয়েছে। এই পরিষ্কারকরণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ছোট্ট শিশুরা আর ডায়রিয়া এবং ময়লা থেকে হওয়া নানা রোগে আক্রান্ত হবে না। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুর্দশাগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
অমিতাভ বচ্চন বলেন, ‘আগামী বছর, ২ অক্টোবর গান্ধীজীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী এবং আগামী বছর পর্যন্ত লক্ষ্য হচ্ছে খোলা শৌচের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। এটি আমাদের প্রচারের পঞ্চম অংশ। এই পাঁচ বছরে আমরা আপনাদের সঙ্গে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। প্রথম বছরে ২২১ কোটি টাকা জোগাড় করে শৌচালয় নির্মিত হয়েছিল। পরের বছর আমরা এই প্রচারকে স্কুলে নিয়ে যাব। স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত ১০ হাজারের বেশি পাঠ্য তৈরি করা হবে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমরা জনগণকে শপথও দিয়েছি। তৃতীয় বছরে, এই কাজ আরও বর্ধিত হবে। পরিচ্ছন্নতা স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত। কারণ ময়লা থেকেই রোগ এবং তাই মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। নোংরা, দূষণ এবং মৃত্যু বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই অব্যাহত। চতুর্থ বছর আমরা প্লাস্টিক বিষয়টিকে নিশানায় রেখেছি। আমরা জনগণের কাছে আবেদন করেছিলাম যে, যদি তারা নিজেদের আশেপাশের প্রায় ১০ গজেরও যত্ন নেয়, তাহলেই পুরো দেশটি পরিষ্কার হবে। এখন পরিষ্কার ভারত, সুস্থ ভারত তৈরির সময়।
তিনি বলেন, ‘এই বছর আমাদের অনুরোধ হচ্ছে যে আপনার স্কুল, বাড়ি এবং সমাজের চারপাশে গাছ লাগানো উচিত যাতে শহুরে ভারতের বায়ুমণ্ডল পরিষ্কার রাখা যায়। আজ একটি বিশেষ দিন। কারণ আমরা আমাদের গত চার বছরের সাফল্য উদযাপন করব এবং এই প্রচারণা ২ অক্টোবর, ২০১৯ সাল পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যাব। এই প্রচারাভিযানের মাধ্যমেই আমাদের দেশকে নতুন এক যুগে নিয়ে যেতে হবে। পরিষ্কার ও সুস্থ ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। সবুজ দেশ তৈরি করুন। গাছ লাগান এবং অন্যকেও বৃক্ষ রোপণে উৎসাহ দিন। আমাদের শপথ নিতে হবে যে আমরা গাছ সংরক্ষণ করব। ২০২০ সালের মধ্যে, ভারত সবচেয়ে যুব জাতি হবে।’
সূত্র: এনডিটিভি
একে//