অপূর্ব-ফারিয়ার ‘জীবনের দিন-রাত’
প্রকাশিত : ১১:২০, ৪ অক্টোবর ২০১৮
‘বাবা-মা’র একমাত্র সন্তান জীবন। খুব আদরে বড় হয়েছে সে। বাস্তবতার জ্ঞান নেই বললেই চলে। কোন দিন একবিন্দু দায়িত্ব জীবনের ঘাড়ে পড়তে দেয়নি তার বাবা। বেশি আদরে কিছুটা বিগড়ে গেছে বললেও ভুল হবে না। পড়াশোনায় মন নেই। সারা দিন বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ায় জীবন। তবে কোন বাজে নেশা নেই। কিন্তু প্রচন্ড অলস। আর এগুলো নিয়ে তার প্রেমিকা মিতুর সঙ্গে সব সময় ঝগড়া লেগে থাকে।
মিতু খুব তড়িৎকর্মা, সাহসী, বাস্তববাদী আর গোছালো টাইপ মেয়ে। দুজন দু-মেরুর মানুষ। হুট করে ফাটলই ধরে যায় তাদের সম্পর্কে। রাগের মাথায় জীবনের কাজ কর্মে অতিষ্ঠ হয়ে সত্যি সত্যি ব্রেক-আপ করে মিতু। প্রচন্ড অপমান করে জীবনকে। জীবন একটু আবেগী ছেলে। প্রচন্ড লাগে তার অপমানগুলো। কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় সে। অপমান সহ্য করতে পেরে না। তার কাছে মিতুকে হারানোর চেয়ে অপমানগুলোই অনেক ভারী মনে হয়।
এদিকে জীবনের উল্টাপাল্টা চলাফেরা তার বাবা সহ্য করতে পারে না। তার বাবার হার্ট এমনিতেই দুর্বল, আগে একবার ছোটখাটো স্ট্রোকও করেছিল। এরই মধ্যে হুট করে স্ট্রোক করে মারা যায় তার বাবা। জীবনের পৃথিবীতে অন্ধকার নেমে আসে। যে ছেলে কোন দিন বাজারে যায়নি তার কাঁধে এখন সংসারের ভার। বাস্তব জীবন পাল্টে দেয় ব্যক্তি জীবনের গল্প।’
এমন গল্পে নির্মিত হয়েছে খণ্ড নাটক ‘জীবনের দিন-রাত’। রিফাত আদনান পাপন এর রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন নাজমুল রনি।
‘জীবনের দিন রাত’ নাটকটি প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, ‘জীবন খুবই আহ্লাদি একটি ছেলে। জীবন নিয়ে সিরিয়াস না। জীবন যুদ্ধে সবাইকে নামতে হয়। সব সময় মাথার উপর ছাঁয়া থাকে না। একটা সময় নিজেকে ছাঁয়াটা বানাতে হয়। নাটকের ম্যাসেজ হচ্ছে এটি। সবাইকে এই সমস্যার মধ্যে দিয়েই আসতে হবে। সে যাই হোক না কেন।’
‘জীবনের দিন রাত’ নাটকটি আগামী ১৯ নভেম্বর রাত ৯টায় নাগরিক টিভিতে প্রচার হবে।
নাটকটিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- শেলী আহসান, আশরাফুল আলম সোহাগ, মনির, তালহা খান।
এসএ/