এফডিসিতে শাকিবের সঙ্গে হাতাহাতি
প্রকাশিত : ১৭:২৮, ৯ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৪৭, ৯ নভেম্বর ২০১৮
এফডিসিতে চলচ্চিত্র সহকারি পরিচালকদের সঙ্গে চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। পাশাপাশি দুই বিনোদন সাংবাদিক জিয়াউদ্দিন আলম ও সুদীপ্ত সাঈদ এর সঙ্গে কাথাকাটাকাটি হয়েছে।
জানা যায়, এফডিসিতে গতকাল বৃহস্পতিবার শাকিবের ‘শাহেনশাহ’ সিনেমার শুটিং চলছিল। সন্ধ্যায় সহকারী পরিচালকদের সংগঠন সিডাবের নেতাকর্মীরা এসে শুটিংয়ে বাধা দেন। তারা তিনজন সহকারী পরিচালক ছাড়া কেন ছবির শুটিং করা হচ্ছে তা সিনেমার পরিচালক শামীম আহমেদ রনির কাছে জানতে চান। এর সদুত্তর না পেয়ে তারা শুটিং বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার প্রতিবাদ করলে শুটিং সেটের বাইরে শাকিব খানের সঙ্গে সহকারী পরিচালকদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে সেখানে উপস্থিত অনেকেই তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের মুহূর্তে ভিডিও করছিলেন অনলাইন পোর্টালের দুজন সাংবাদিক জিয়াউদ্দিন আলম ও সুদীপ্ত সাঈদ খান। তা দেখে ক্ষিপ্ত হন শাকিব খান। এরপর ওই দুই সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিতে বললেন তার দেহরক্ষী হারুনকে। এ সময় শামীম আহমেদ রনীর ছবির সেটে কাজ করছিলন শাকিব খান। তিনি তার দেহরক্ষীকে মোবাইল ফোন ‘চেক’ করে যা ভিডিও করা হয়েছে, তা ডিলিট করতে বলেন শাকিব খান।
সাংবাদিকদের হেনস্তার ব্যাপারে অনলাইন পোর্টাল মিডিয়াভুবনের সম্পাদক আলম বলেন, ‘দু’পক্ষের যখন বিতণ্ডা হচ্ছিল তখন আমি আর চিত্রনাট্যকার সুদীপ্ত সাঈদ খান দূরে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিলাম। এ সময় শাকিব হঠাৎ গালাগালি করতে করতে তেড়ে এসে আমাদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। তিনি আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। আর সুদীপ্তর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন শামীম আহমেদ রনি। পরে আমাদের মেকাপ রুমে ডেকে নিয়ে যা তা ভাষায় ধমক দেন। তাকে বারবার শান্ত করতে চাইলেও তিনি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেননি। আমার ও সুদীপ্তর ফোনের সব গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও তিনি ফরম্যাট দিয়ে মুছে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে শাকিব খান বলেন, বিষয়টি জানলে সকলে বুঝতে পারবেন। কেন মোবাইল কেড়ে নিতে বলেছি? এখানে যা হয়েছে এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এসব কেন ভিডিও করে নিয়ে যাবে? তাই আমি ধমক দিয়ে বলেছি, এটা ভিডিও করার কী আছে? তারপর আমি ওসব ভিডিও মুছে ফেলতে বলেছি। শাকিব খানের মতে, যারা শাহেনশাহ ছবির শুটিং সেটে ছিলেন, তাদের তিনি সংবাদকর্মী মনে করেন না, ছোট ভাই হিসেবে দেখেন। সাংবাদিক হিসেবে যদি দেখতেন, তাহলে তাদের শুটিং স্পটে ঢুকতেই দিতেন না।’
এসি