ঢাকা, শুক্রবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাবাকে কাছে না পাওয়া নিয়ে যা বললেন আলিয়া

প্রকাশিত : ১৫:৪৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

আর পাঁচ জন বাবা-মেয়ের মতো সম্পর্ক নয়। কোনও দিনই আলাদা করে মেয়েকে নিয়ে সময় কাটিয়েছেন তেমনটাও খুব কমই ঘটেছে। আসলে তিনি ভীষণই একজন ব্যস্ত মানুষ। তার বাবা, তার কাছে তারকার মতোই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবা মহেশ ভাটের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন আলিয়া ভাট।

আলিয়ার কথায়, ‘আমি আমার বাবাকে কখনও মিস করিনা, কারণ ওনি আমাদের সঙ্গে সেভাবে কখনওই থাকেনই নি, তাই ওনার অনুপস্থিতি আলাদা করে কখনওই বুঝিনি। তবে বেশ কয়েক বছর আগে উনি ঠিক করলেন, যে উনি আমাদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

তারপর থেকেই ওনার সঙ্গে সুন্দর একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওনার সঙ্গে একটা সুন্দর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আমি বলিউডে পা রাখার পর ওনার গুরুত্বটা আলাদা করে বুঝতে পারি। এটা কতটা কঠিন একটা কাজ।

প্রসঙ্গত, ছেলেবেলা থেকে বাবা মহেশ ভাটের থেকে মা সোনি রাজদানের কাছে পেয়েছেন আলিয়া। অভিনেত্রী মা সোনিই একাহাতে মেয়েকে বড় করে তুলেছেন। তাই আলিয়ার কথায়, তিনি মাকে ছাড়া তাই কিছুই ভাবতে পারেননা। তার মা যেন তার সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন।

মেয়ে আলিয়াকে নিয়ে মা সোনি রাজদান বলেন, ‘আলিয়া ছোট থেকে খুব বাধ্য মেয়ে ছিল। ওশুধু জামাকাপড় পরার বিষয়ে খুব ব্যস্ত থাকত। আমি ওকে ওর পছন্দ মতো পোশাক পরতে দিতাম।’

বেশ কিছুদিন আগে বাবা মহেশ ভাট প্রসঙ্গে হিন্দুস্থান টাইমসকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ও মহেশ ভাটকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন আলিয়া। জানিয়েছিলেন, ‘বাবা কোনও দিনই তার জন্য কড়া বাবা ছিলেন না।

তিনি (মহেশ ভাট) সব সময়ই বলতেন যে ভুল করো, ক্লাসে ফেলও করো। আর ভূল থেকেই শিক্ষা নিয়ে নিজের মতো করে শিখবে। আমরা মানুষ হিসাবে কেমন হবো, সেটাই বাবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।’

আলিয়া আরও বলেন, ‘বাবা আমায় কখনও কোনও কিছুতেই না বলেননি। আমি ওনার কাছে যেটাই চেয়েছি, উনি সেটাই দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, খুব শীঘ্রই বাবা মহেশ ভাটের ছবি সড়ক-২ ছবিতে কাজ করতে চলেছেন আলিয়া ভাট। পাশপাশি সাম্প্রতিক কালে মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘গলি বয়’-এ আলিয়ার অভিনয় দেখে সকলেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

তথ্যসূত্র: জি নিউজ

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি