ছবির এ মেয়েটি কে?

অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালকে নিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে সিনেমা। ‘রাজি’ খ্যত পরিচালক মেঘনা গুলজার এই সিনেমাটি নির্মাণ করবেন। আর সেই সিনেমাতে অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের ভূমিকায় দেখা যাবে দীপিকা পাড়ুকোনকে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে দীপিকার সেই সিনেমার ফাস্ট লুক। সিনেমার নাম ‘ছপাক’। যেখানে দীপিকার সঙ্গে তার অ্যাসিড আক্রান্ত লুকের চেহারা এক্কেবারেই মেলানো যাচ্ছে না। মেকআপে তার চেহারার ভোল পাল্টে গিয়েছে। দেখলে মনেই হবে না যে এই দীপিকা।

দীপিকার এই ‘ছপাক’ লুকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিনেমাপ্রেমীরাও। অভিনেত্রীর এই লুক প্রকাশ্যে আসার পর প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনার বোন রঙ্গোলি চান্দেল। অনেকেই হয়ত জানেন না, রঙ্গোলি নিজেও একজন অ্যাসিড আক্রান্ত।

যতদূর জানা যায়, রঙ্গোলি হিমাচল প্রদেশের প্রথম অ্যাসিড আক্রান্ত নারী। ২০০৬ সালে দেরাদুনে রঙ্গোলির উপর অ্যাসিড হামলা হয়। চণ্ডীগড়ের দুই যুবক কঙ্গনার বোন রঙ্গোলির উপর অ্যাসিড হামলা চালায় বলে জানা যায়। সেই হামলায় রঙ্গোলির মুখের অনেকাংশ পুড়ে যায় এবং একটি চোখের ৯০ শতাংশ দৃষ্টি শক্তি চলে যায়। একটা কানও নষ্ট হয়ে যায় তার। পরে ৫৭টি অস্ত্রপচারের মাধ্যমে অনেকটা স্বাভাবিক চেহারা ফিরে পান রঙ্গোলি। তবে রঙ্গোলির কথায়, অ্যাসিড আক্রান্ত হওয়ার পর সেই ভয়ানক যন্ত্রণা কখনওই ভোলার নয়। শরীরের থেকেও মনেক কষ্ট ছিল আরও ভয়ানক। তাই দীপিকার ‘ছপাক’র লুক প্রকাশ্যে আসার পর তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন রঙ্গোলি চান্দেল।

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বোনের রঙ্গোলির জীবনের এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত।

কঙ্গনার কথায়, ‘আমি ওকে (রঙ্গোলিকে) বলেছিলাম, আমি তোমার জীবনের এই ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানাতে চাই। আমি এই অধিকারটা চেয়েছিলাম। আমি নিজেই ওর (রঙ্গোলির) চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। তবে রঙ্গোলি বলেছিল এটা নাকি ফ্লপ সিনেমা হবে।

সূত্র : জি নিউজ

এসএ/