ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫

অভিনেতা অপূর্বর ছোট ভাইয়ের আত্মহত্যা

প্রকাশিত : ১০:৩০, ১৪ জুন ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ছোট ভাই জাহেদুল ফারুক দ্বীপ ওরফে দর্পণ দ্বীপ (৩৫) ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি কোন কথা না বলে চুপ করে কিছু সময় হাঁটাচলা করে, এরপর লাইভ অফ করে দেন।

সবশেষে ফেসবুকে ‘বাই’লিখে তিনি আত্মহত্যা করেন। লাইভে ফ্যানের সঙ্গে রশি ঝুলানো এবং নিচে চেয়ার দেখা যায়। ভোরে শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বাসাটিতে স্ত্রী ডলি ও ছোট চার বছর বয়সী ছেলে অংশকে নিয়ে থাকতেন দীপু। দীপু টমেটো ওয়েব নামক একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পাশাপাশি গান গাইতেন, নাটক ও টেলিছবির আবহ সংগীত করতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান মসজিদে দ্বীপের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেই কবরস্থানেই দাদির কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।

তার বড় ভাই অপূর্ব বলেন, শুনেছি, গতকাল রাতে ও অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল। ওর স্ত্রী এখন সাড়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আত্মহত্যার আগে দীপু একটি চিরকুট লিখে গেছে। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। অংশ, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।’

দীপুর বাবা ওমর ফারুক বলেন, দীপু স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকত। জীবনে আশানুরূপ উন্নতি না করার কারণে তার মধ্যে এই হতাশা তৈরি হয়। যে কারণে আত্মহত্যা করতে পারে।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, অনেকক্ষণ দীপুর কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ ওই স্টুডিওর দরজা ভাঙা হয়। দীপুর স্ত্রী তাঁকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পুলিশ গিয়ে ভোরে দীপুর লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দীপুর মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি