ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল?: শাওন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৯, ৮ অক্টোবর ২০১৯

আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় উত্তাল স্যোশাল মিডিয়া। অনেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঘটনাটির জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন নিম্নে সেটি তুলে ধরা হলো-

বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ‘৬৯ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আমার বাবা। সারাজীবন তাঁর মুখে গর্বের সাথে উচ্চারিত হওয়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হবার স্বপ্ন ছিল আমারও। ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম তোলার সময় ঢাকার বাইরে থাকায় পরীক্ষা-ই দিতে পারিনি আমি! সেই দু:খ ভোলার জন্য প্রায়ই ভেবেছি পুত্রদ্বয়ের যেকোনো একজন যেন এই মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদার হতে পারে।

এই প্রতিষ্ঠানের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগেরই ছাত্র ছিল আবরার। আবরার এর কথা ভাবি আর আমার পুত্রদ্বয়ের মুখের দিকে তাকাই। আমার বুক কাঁপে। বাচ্চাদু’টোর পিঠ হাত-পা’র উপর হাত বুলিয়ে দেই। ছোটবেলায় এরকম ছোট ছোট হাত পা-ই তো ছিল আবরারের! তার মা কতরাত পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছে তাকে! একেকটা আঘাতে ছেলেটা কি ‘মা গো’ বলে চিৎকার দিয়েছিল? ‘মা গো’ ডাক শুনে খুনী ছেলেগুলোর কি একটুও নিজের মা’এর কথা মনে পড়েনি! ঠিক কতবার.., কতক্ষণ ধরে.., কতটুকু আঘাত করলে ২০/২১ বছরের একটা তরুণ ছেলে মরেই যায়!

আমি আর ভাবতে পারি না।

ফেসবুকে আবরারের পিঠটার ছবি দেখলাম। কি ভয়ংকর! কি নৃশংস!! কি কষ্ট!!!
এই ছবিটা যেন তার বাবা-মা’র চোখে না পড়ে। ভুল বলেছি। আবরারের বাবা, আবরারের মা তাদের বাবুটার ক্ষতবিক্ষত পিঠে হাত বুলিয়ে যেন অভিশাপ দেন মানুষের মতো দেখতে খুনী অমানুষগুলোকে। তাদের অভিশাপে যেন ধ্বংস হয়ে যায় এই অসুস্থ সমাজ।

#নুসরাতকে_ভুলে_গিয়েছি
#আবরারকেও_ভুলে_যাব
#বিচার_চাই_বলে_লাভ_আছে_কিনা_জানিনা_তবুও
#বিচার_চাই

সংশোধন: ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পিঠের ছবিটা আবরারের না। তাতে কি! আবরারের শরীরটাও তো ৬/৭ ঘন্টার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত!

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি