‘কালো জামাই’ আ খ ম হাসান
প্রকাশিত : ১৪:৩৮, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
আ.খ.ম হাসান। বিভিন্ন চরিত্রে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত। এবার কুঁচকুচে কালো গায়ের রং-এ দেখা যাবে তাকে। সম্প্রতি স্বপ্নের কারিগর-এর ব্যানারে নির্মিত হলো একক নাটক ‘কালো জামাই’। আর এতেই তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
নাটকটি রচনা করেছেন রাজীব মণি দাস ও পরিচালনায় আর আইচ সোহেল।
গল্পে দেখা যাবে, আবুল কালাম (আ.খ.ম হাসান) এর গাঁয়ের রং কুঁচকুচে কালো। তাই গ্রামের মানুষের কাছে সে কালু নামে পরিচিত। তবে কালু সব সময় হাসি-খুশি থাকেন। বাসর ঘরে কুচকুচে কাল কালুকে দেখে তার স্ত্রী মিথিলা (অরিন) অজ্ঞান হয়ে যান। গ্রামের মানুষের কাছে রটে যায় কালুর বউ বাসর ঘরে ফিট খাইছে। এই ঘটনার পর গ্রামের অনেকে কালুকে এবার কাউয়া বলতে শুরু করে।
অন্যদিকে কালুর বায়রা ভাই রিজু (নিথর মাহবুব) সুন্দর হওয়ার কারণে নিজের প্রশংসায় নিজেই সে সব সময় পঞ্চমুখ থাকে। আর সুযোগ পেলেই নিজের সঙ্গে তুলনা করে কালুকে হেয় করার চেষ্টা করে। সে নিজেকে অনেক স্মার্ট মনে করে। রিজুর স্ত্রীও (সীমানা শীলা) সাদা জামাই পেয়ে কিছুটা অহংকারী, জামাইকে খুশি রাখতে সবসময় সাজগুজ করে থাকে সে।
কালুর স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাবার বাড়িতে চলে যায়। রাতের আঁধারে কালু তার শশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে ডাকাত সন্দেহ করে গ্রামের মানুষ তাকে গণধোলাই দেয়। গ্রামের মানুষ ধারণা করে মুখে কালি মেখে কালু ডাকাতি করতে এসেছে। কালুর বায়রা ভাই ও শ্বশুর তাকে গ্রামবাসীর কাছথেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরিবারের সবাই মিলে মিথিলাকে বুঝায়। কিন্তু সে কালুর সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। কালো হওয়ার জন্য কালুর দোষটা কি বুঝতে পারে না সে। কালু ভাবে ফর্সা কিংবা কালো সবই তো আল্লাহপাকের সৃষ্টি। কালু মনে মনে স্থীর করে নেয় তার ভাগ্যে যা লিখা আছে তাই হবে। এমনি দ্বিধা-দন্দ্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় ‘কালো জামাই’ নাটকের গল্প।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, অরিন, নিথর মাহবুব, সীমানা শীলা, বিপ্লব প্রসাদ, আফরোজা হোসেন, জাদু ফরিদ, ফরহাদ সরকার, আফতাব উদ্দিন, নবাব তুহিন প্রমুখ।
পরিচালক সূত্রে জানা যায়, নাটকটি যেকোনো একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
এসএ/